ব্যান্ডউইথ পরিবহনে ৩ টেরাবাইটের মাইলফলক ছাড়ালো বিএসসিপিএলসি

রিয়েল টাইম ট্রাফিকে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে প্রতি সেকেন্ড ৩ টেরাবাইট গতিতে আন্তর্জাতিক ব্যন্ডউইডথ পরিবহনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত রাষ্ট্রীয় টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস (বিএসসিপিএলসি)। গত ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিএসসিএল এর ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার ছিল সেকেন্ডে ৩.৩৪ টেরাবাইট। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এই গতি ৩.৪৬ টিবিপিএস এ উন্নীত হবে বলে আগাম অনুমান প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়ব।
তিনি জানিয়েছেন, বিগত ৮ মাসে ব্যবহার ১.১০ টেরাবাইট বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ আমলে এই প্রতিষ্ঠানের ৬৫% শতাংশের বেশি ক্যাপাসিটি অব্যবহৃত ফেলে রাখা হয়েছিল বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন সরকারের এই প্রকৌশলী উপদেষ্টা।
এ বিষয়ে ফয়েজ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “বিগত কয়েক মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নির্দেশনা ও পলিসি সাপোর্ট, প্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্টের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং কয়েক দফা মূল্য ছাড়ের প্রেক্ষিতে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। দেশে ব্যবহৃত ব্যন্ডউইডথে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি এর শেয়ার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে কোম্পানির রাজস্ব আদায়ও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সম্প্রতি বিটিআরসি লাইসেন্সিং গাইডলাইন সংশোধনের মাধ্যমে সকল আইআইজি অপারেটদের তাদের ব্যবহৃত ব্যান্ডউইডথ এর কমপক্ষে ৫০ শতাংশ সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহারকে অধিকতর উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি যে সকল আইআইজি অপারেটর তাদের ব্যবহৃত মোট ব্যান্ডউইথের ৫০ শতাংশের বেশি সাবমেরিন ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার করবে, তাদের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত ব্যান্ডউইডথের উপর অতিরিক্ত মূল্যছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করছে, যা শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। পাশাপাশি রেগুলার ডিস্কাউন্টেড বাল্ক প্যাকেজের বাইরে ডেটা সেটার/ক্লাউড/'হাইপার স্কেলার'দের জন্য আলাদা ইন্টারনেট প্যাকেজ ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে।”
“দেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথে সাবমেরিন এর ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, বিশ্বমানের তুলনায় অনেক পিছিয়ে থাকা ইন্টারনেটের মানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটবে। রাজস্ব আদায় ও সেবার মান বৃদ্ধি সর্বোপরি সুলভ মূল্যে দেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ এবং কোম্পানির সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ সদা সচেষ্ট থাকবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে, আমি প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীকে ধন্যবাদ জানাই। বহু জঞ্জালের মধ্যেও দেশে রাইট পলিসি কাজ করে। সব সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সরকারি কোম্পানি গুলোর আয় বাড়ানো সম্ভব”- যোগ করেন তিনি।