‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ’ নিয়ে কারিগরি কর্মশালা

অনলাইন, পোস্টাল ও প্রক্সি’র কারিগরি পথনকশা তৈরি

৮ এপ্রিল, ২০২৫  
৮ এপ্রিল, ২০২৫  
‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ’ নিয়ে কারিগরি কর্মশালা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে চলছে ‘প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নির্ধারণ’ বিষয় কর্মশালা। চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিবদের উপস্থিততে কর্মাশালায় প্রবাসীদের অনলাইন, পোস্টাল ও প্রক্সি এই তিন ভোটিং পদ্ধতির টেকনিক্যাল বিষয়ে আলোকপাত করা হচ্ছে। 

সভায় সবার উদ্দেশ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি আমরা অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ মত দেন, পোস্টাল ও অনলাইন ভোটিং পদ্ধতি এখানে তেমন কার্যকর হবে না। প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতিই উপযোগী। 

কর্মশালায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম আলিম আল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. অনিন্দ্য ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ড. মো. মামুন অর রশিদ ও ড. মোসাদ্দেক হোসেন কামাল, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) সিএসই বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুল করিম মজুমদার, সহযোগী অধ্যাপক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও সহযোগী অধ্যাপক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. আবুল বাশার, রিলিফ ভেলিডেশন লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার অ্যান্ড্রিস উইথমুলার, সিনেসিস আইটির সফটওয়্যার বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলামসহ অন্তত ৮০ জন অংশ নিয়েছেন।

এদের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়, ইসির আইসিটি শাখা, মাঠ কর্মকর্তা, ইএনডিপি, বেসিস এবং বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কারিগরি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিরা রয়েছেন। 

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছোট পরিসরে হলেও প্রবাসীদের পরীক্ষামূলকভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে বিশেষজ্ঞদের সুনির্দিষ্ট মতামত চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।  তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দিতে বলেছেন। আমরা যেটা দেখলাম এটা খুব সহজ নয়, অনেক পর্যালোচনার পর আমরা তিনটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছি। পোস্টাল ভোটিং, যেটি আমাদের এখানে আছে। অনলাইন ভোটিং এবং প্রক্সি ভোটিং নিয়েও আমরা কাজ করছি। প্রক্সি ভোটিং পদ্ধতি আমাদের এখানে করপোরেট সেক্টরে প্র্যাকটিস হয়। তবে এক্ষেত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মতো আমরাও (ইসি) আগামী নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার বিষয়ে যে পদ্ধতিতেই আমরা এগোই না কেন, প্রথমে পাইলটিং প্রোগ্রাম পরে স্বল্প পরিসরে করতে হবে, এরপর বড় পরিসরে যেতে হবে।

কর্মশালায় আগত বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা সুনির্দিষ্ট মতামত দেবেন। এক্ষেত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা, ভোটারদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রবাসীদের বাস্তবতা বিবেচনায় আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন কোন দেশে পাইলটিং প্রোগ্রাম করা যায় সেই পরামর্শ আপনারা দেবেন।  

এর আগে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রবাসীদের জন্য প্রক্সি ভোটিংয়ের বিষয়ে প্রাধান্য দিচ্ছে। এই পদ্ধতি চূড়ান্ত হলে প্রবাসীরা তার আত্মীয়-স্বজনদের প্রক্সি হিসেবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পারবেন।

নির্বচান প্রস্তুতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে ডিজিটাল বন্দোবস্ত