দেশের প্রকৌশলীদের সম্মানের স্বারক তিস্তা ব্যারেজ

৬ নভেম্বর, ২০২৫ ২০:৩০  
দেশের প্রকৌশলীদের সম্মানের স্বারক তিস্তা ব্যারেজ

বাংলাদেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশের প্রকৗশলীদের সম্মানকে স্মরণীয় করে রেখেছেন বলে মনে করেন প্রকৌশলীরা।েএ কারণেই পলাতক আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে শত চেষ্টা করেও তার নাম নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এ্যাব নেতারা। 

‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে ৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার বিকালে আইইবি’র সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত ‘আলোচনা সভা’য় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলেন (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এ্যাব এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী এ. এন. এইচ আখতার হোসেন; এ্যাব এর প্রধান উপদেষ্টা ও অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুমন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন, সাবেক সংসদ সদস্য এবং আহবায়ক, এ্যাব। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রকৌশলী কাজী আবুল কাশেম, সদস্য, আহবায়ক কমিটি ও আহবায়ক, আয়োজক কমিটি, এ্যাব। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রকৌশলী শামিম রাব্বি সঞ্চয়, সদস্য, আহবায়ক কমিটি ও সদস্য-সচিব, আয়োজক কমিটি, এবং এ্যাব কমিটির আহবায়ক সদস্য প্রকৌশলী শফিউল আজম ফাহিম। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও আমরা প্রকৃত স্বাধীনতা লাভ করতে পারি নাই। মানুষের আত্মপরিচয় কলুষিত করে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতির মাধ্যমে এদেশে প্রকৃত স্বাধীনতা গঠেছিল। এদেশের মানুষের গণতন্ত্রের নিশ্চয়তা, সার্বভৌমত্ব ও আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে মুক্ত করেছিল শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বাংলাদেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ করেছিলেন। হাসিনা তার বক্তব্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হেও করে অনেক বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের যে অবদান ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ হাসিনা সেটাকে মুছে ফেলতে পারেনি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী এ. এন. এইচ আখতার হোসেন, পিইঞ্জ. বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করলেও আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করতে দেয় নাই। এদেশে প্রকৃত স্বাধীনতা এসেছিল ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশ কে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে রুপান্তর করতে চেয়েছিলেন। তিস্তা ব্যারেজ নির্মাণে বিদেশ থেকে প্রকৌশলী আনতে চেয়েছি, কিন্তু তিনি বলেছিলেন আমাদের নিজস্ব প্রকৌশলীদের দিয়েই এই ব্যারেজ নির্মাণ করবো। তিনি এদেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের সম্মান করেছেন এবং যথাযথ কাজে লাগিয়েছেন।  
 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, বিএনপি শুধু মাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয় বরং বিএনপি মানবিক দল। বাংলাদেশ যতবার ক্রান্তি কালে পড়েছে ততবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবার এগিয়ে এসেছে। ৭ নভেম্বর জাতীয় সংহতি দিবস এদেশের মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে প্রথম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম কথাটি লিপিবন্ধ করেছিলেন। তিনি ২০২৬ সালের নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবন্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে এদেশে স্বাধীনতা আসতো কি না সন্দেহ রয়েছে। তিনি তাঁর পরিবারকে অরক্ষিত রেখে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশে বিএনপি না আসলে এদেশ ভুটান বা কম্বোডিয়ার মতো হতো। শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় এসে এদেশের মানুষকে তাদের আত্মপরিচয়ের বাধা সৃষ্টি করেছিল আর হাসিনা ক্ষমতায় এসে তার প্রতিফলন ঘটিয়েছিল।

উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- এ্যাবের আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য প্রকৌশলী শোয়েব বাশরী হাবলু, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, এ্যাবের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, গণমাধ্যম মিডিয়া উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মোতাহার হোসেন ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, আপ্যায়ন উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদার, প্রচার ও আমন্ত্রণ উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কে. এম. আসাদুজ্জামান চুন্নু ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী গোলামা মোস্তফা খান, ডেকোরশন ও কারিগরী সহযোগিতা উপ-কমিটি’র আহবায়ক প্রকৌশলী এইচ এম মইনুল ইসলাম ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী রবিউল আলম উজ্জ্বল, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান সাইফুল ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী এস. এম. ফয়সাল মাহমুদ, অভ্যর্থনা উপ-কমিটির আহবায়ক হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী মিঠুল ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী আব্দুল মোমেন তালুকদার প্রিন্স, অর্থ উপ-কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী আলিমুল বাহার রিপন ও সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মনসুর আহম্মেদ ও যুগ্ম-আহবায়ক প্রকৌশলী মাহাবুব আলমসহ প্রমূখ।

এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় এ্যাব-এর উপদেষ্টা মন্ডলী এবং আহ্বায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, দেশের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট প্রকৌশলীবৃন্দ উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। এছাড়াও সারা দেশ থেকে আগত মহান জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রকৌশলীবৃন্দ উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে আলোচনা সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেন।

ডিবিটেক/এসকে/ইক