বিকেলে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বিআইজিএফ

৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:০৮  
৩০ অক্টোবর, ২০২৫ ১১:০৯  
বিকেলে শুরু হচ্ছে তিন দিনের বিআইজিএফ

বাংলাদেশে ডিজিটাল সুশাসন, সাইবার নিরাপত্তা ও যুব অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ৩০ অক্টোবর রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বসছে তিনদিন ব্যাপী বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (বিআইজিএফ)। ২০তম এই ফোরামের শেষ দিন ইন্টারনেটে নিরাপদ রেখে শিশুদের স্মার্ট ভবিষ্যত গড়ে তোলার ওপর থাকছে একটি কর্মশালা। এছাড়াও প্রথম ও সমপানী দিনে ২টি করে তিন দিনে মোট নয়টি বিষয়ে থাকছে প্যানেল আলোচনা। এতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ, প্রযুক্তিবিদ ও তরুণ উদ্যোক্তারা অংশ নিচ্ছেন।

৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে চলমান ফেলোশিপের ওপর সভা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ বছরের ফোরাম। বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মাদ আব্দুল হক অনুর সঞ্চালনায় প্রধানবক্তা হিসেবে থাকছেন আইকান এর গ্লোবাল স্টেকহোল্ডার এঙ্গেজমেন্ট ম্যানেজার ইয়াস আগারওয়াল। এই সেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচক হিসেবে থাকছেন নেটমিশন অ্যাম্বাসেডর আশিকুর রহমান শুন্য, আইসক বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ কাউছার উদ্দীন। 

এরপর বাংলাদেশের ডিজিটাল শাসন ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ফোরামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মিনহাজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এই সেশনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখবেন ইন্টারনেটের জনক খ্যাত গুগল’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ ইন্টারনেট ইভানজেলিস্ট ভিনটন জি সার্ফ। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন ডিজিটাল গণতন্ত্রায়ণ বিশেষজ্ঞ এবং দায়িত্বশীল কৃত্রিমবুদ্ধিমত্তা অ্যাম্বাসেডর এ এইচ এম বজলুর রহমান। 

প্রথম অধিবেশনে বাংলাদেশের অন্তর্ভূক্তিমূলক ও বুদ্ধিদিপ্ত ক্ষমতায়নে ডিজিটাল শাসন ব্যবস্থার রূপরেখা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মু. হাকিকুর রহমান। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোকপাত করবেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর নট ফর প্রফিট ল (আইসিএনএল) প্রধান শারমিন খান।  সাম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখবেন  বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন) চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমাস কবির ও এপনিক নির্বাহী কমিটির সদস্য সুমন আহমেদ সাবির। 

ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি টানবেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান। 

তরুণদের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ ও এআই অন্তর্ভুক্তি বিষয়টিকে সামনে রেখে শুক্রবারের প্রথম সেশনে আলোচনার বিষয় “নিরাপদ ডিজিটাল ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের কণ্ঠস্বর”।  বাংলাদেশ ইয়ুথ আইজিএফ চেয়ারম্যান সৈয়দা কামরুন জাহান রিপার সভাপতিত্বে এই সেশনে প্রধান বক্তা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রিদমা খান।

পরবর্তী সেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ডিজিটাল বিভাজন দূরীকরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন প্রকৌশলী ও শিক্ষাবিদরা। বিকেলে কৃষক ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ডিজিটাল ক্ষমতায়ন বিষয়ে বক্তৃতা দেন জারিন তাসনিম রাফা ও সানজিদা তাসনিম।
দিনের শেষ সেশনটি হবে সাইবার গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা বিষয়ে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল-এর মাহেদী হাসান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সমপানী দিনটি শুরু হবে শিশু নিরাপত্তা ও অনলাইন সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা দিয়ে। সকালে ‘স্মার্ট কিডস, সেফ ইন্টারনেট’ শীর্ষক কর্মশালায় স্কুল শিক্ষার্থীরা দলভিত্তিক আলোচনায় অংশ নিয়ে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে। দেখানো হবে নিরাপদ থাকার কৌশল।

পরবর্তী অধিবেশনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রযুক্তির ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ও UN Women-এর প্রতিনিধিরা। এর পর থাকছে  মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাইবার আইন বিষয়ক আলোচনা। দুপুরের আলোচনায় ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মো. আল আমিন তুষার। গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় ডিজিটাল যাচাইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এএফপি’র ডিজিটাল ভেরিফিকেশন সম্পাদক মো. ইয়ামিন।

সমাপনী অধিবেশনে মূল বক্তা ছিলেন এ.এইচ.এম. বজলুর রহমান, আর সভাপতিত্ব করবেনন মো. সায়মুম রেজা তালুকদার। সংহতি ভাষণ দেবেন জাতিসংঘ আইজিএফ সচিবালয়ের কর্মকর্তা আঞ্জা জেনগো।