ওয়াইসে বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে ড্রিমস অব বাংলাদেশ
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে বাংলাদেশ থেকে ১৮টি দল যাচ্ছে মালোয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে। সেখানে সেলান গড় ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে বাংলাদেশের তরুণ উদ্ভাবকদের তৈরি ৩২টি রোভার ও রোবট নিয়ে নিজেদের উদ্ভাবন প্রদর্শন করবে আমাদের ৪০ কিশোর রোবটিয়ান। ইন্দোনেশিয়ার ইয়্যুথ সায়েন্টিস এসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিতব্য বৈশ্বিক উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা ওয়ার্ল্ড ইনভেনশন কম্পিটিশন অ্যান্ড এক্সিবিশনে (ওয়াইস) বাংলাদেশের পতাকা বহন করছে তরুণদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সংগঠন ড্রিমস অব বাংলাদেশ। বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে এই আসরে যাচ্ছেন বড় একটি প্রতিনিধি দল।
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের সঙ্গে যাচ্ছেন ১০জন মেন্টর ও ২০জন অভিভাবক। ব্যক্তিগত খরচে দেশের পতাকা বহন করছে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারীরা। নিজ শক্তিতেই এবার বিশ্বের আরও ২৬টি দেশের সঙ্গে মেধার লড়াইয়ে লাল-সবুজে পতাকা উড্ডীন করতে চায় তারা।
১৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এমন প্রত্যয়ই ব্যক্ত করলেন ড্রিমস অব বাংলাদেশের সিইও মাহাদীর ইসলাম।
ড্রিমস অব বাংলাদেশের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সৌরভের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সিনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তামিম হোসেন, হেড অফ মার্কেটিং আসফিন আহান, এবং এক্সিকিউটিভ সাফিন আহমেদ ছাড়াও প্রতিযোগীদের অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এই তরুণ উদ্ভাবকদের তৈরি আন্ডার ওয়াটার রোবট, মার্স রোভার, আর্থ রোভার, রেসকিউ ড্রোন, রেসকিউ রোভার, মুন রোভার, ফায়ার ফাইটার রোবট, ট্রাফিক জ্যাম ম্যানেজমেন্ট রোবট, ওয়েস্ট ক্লিনার রোভার, ফ্লাড রেসকিউ রোবট, পোর্টেবল মেডিকেয়ার রোভার প্রদর্শন করা হয়। এগুলোর বেশির ভাগই প্রতিকূল পরিবেশে মানুষের সঙ্গী হিসেবে কাজ করে। বেশিরভাগই চার চাকার রোভার। আছে কিছু রোবটও।
সংবাদ সম্মেলনে মাহদীর ইসলাম বললেন, ড্রিমস অফ বাংলাদেশ সবসময়ই মেধাবী, উদ্যমী ও আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। ৫ম শিল্পবিপ্লবের প্রধান চালিকাশক্তি প্রযুক্তি বিশেষত রোবোটিকস ও অটোমেশন। আমাদের লক্ষ্য প্রোটোটাইপ পর্যায়ের উদ্ভাবন থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পর্যায়ের সমাধান তৈরি করে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখা। সেই পরিকল্পনা থেকেই এবার দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি উদ্ভাবনের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ১৮টি উদ্যোগ বাছাই করেছি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বাংলাদেশি ডেলিগেশন ওয়াইস-এ অংশ নিচ্ছে ড্রিমস অব বাংলাদেশ। আমরা খুদে হলেও উদ্ভাবনী প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে যাত্রা শুরু করে ড্রিমস অফ বাংলাদেশ। সংগঠনটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের খুঁজে বের করে তাদেরকে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের সুযোগ করে দিচ্ছে। ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক সম্মানজনক পুরস্কারসহ তিনটি স্বর্ণপদক অর্জন করেছে এই সংগঠনটির খুদে বিজ্ঞানীরা।







