ন্যাশনাল পলিসি শাস্ট চ্যাপ্টারের চ্যাম্পিয়ন ‘অরুণাভ’
নীতি প্রণয়নে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের স্টার্টআপে ব্যয় করা সময় একাডেমিক ক্রেডিটে যুক্ত করা এবং নীতিমালা প্রণয়ণে ডাটা ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্ভের মাধ্যমে পরীক্ষা করার প্রস্তাব দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এভাবেই স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়া থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে উদ্ভাবনী দক্ষতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তরুণরা পথ দেখাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই প্রকৌশলী।
৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আয়োজিত চতুর্থ 'শিল্পবিপ্লব: বাংলাদেশের উদ্ভাবনী সম্ভাবনা ও প্রয়োগ ক্ষেত্র' শীর্ষক জাতীয় নীতি প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব প্রস্তাবনা দেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। বক্তব্যের আগে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
এতে ন্যাশনাল পলিসি শাস্ট চ্যাপ্টারের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টিম অরুণাভ। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ২৪০। এই দলের সদস্যরা হলেন জুবায়ের বিন খালিদ, তাসফিয়া আব্বাস জুঁই এবং সিয়াম রহমান সৌরভ। তারা প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ইউএনএমএস নামে সুরক্ষিত একক হেলথেট ডাটা রেকর্ড সল্যুশন দিয়ে এই উদ্ভাবন দেখিয়েছে তারা।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ ক্যাপিটাল মিত্র থেকে এক পয়েন্ট কম পেয়ে প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার্স আপ টিম সুনাগরিক।
বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দিয়ে পলিসি সম্পর্কিত প্রতিযোগিতার গুরুত্ব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, এ ধরণের প্রতিযোগিতা দেশের জন্য আশাজাগানিয়া। পলিসি প্রণয়নে তরুণদের অধিক সম্পৃক্ত করা উচিত। কারণ তরুণরা তথ্য-প্রযুক্তির গতিশীল রূপান্তরের সঙ্গে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে। এই রূপান্তরকে পলিসি মেকিং এর সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে হবে।
তরুণরা দেশের পাইপলাইন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগিদের বিজয় প্রমাণ করে দেশের ভবিষ্যত নেতৃত্ব যোগ্যদের হাতেই যাচ্ছে। যারা স্টার্টআপ নিয়ে আগ্রহী তাদের স্টার্টআপকে একাডেমিক ক্রেডিটে অন্তর্ভূক্ত করা, তাদের জন্য কানেক্টিভিটির ফ্যাসিলিটি বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
পলিসি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের লিগাল গাইডলাইনের ভিতরে থেকে পলিসি বাস্তবায়ন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তরুণদের উপস্থাপিত পলিসি সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহ নাগরিক পর্যায়ে কোয়ালিটিটিভ ও কোয়ান্টিটিভ সার্ভের মাধ্যমে নিরীক্ষা করে পলিসিগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।
প্রতিযোগিতা শেষে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বিজয়ীদের মেডেল, ক্রেস্ট ও অর্থমূল্য পুরস্কার প্রদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি দল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে টিম অরুণাভ। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হয় যথাক্রমে টিম ক্যাপিটাল মিত্র ও টিম সুনাগরিক।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব-উল-আলম বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান। দেশে বর্তমানে ৩৪শতাংশ তরুণ রয়েছে তাদের নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় কাজ করছে
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসাইন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের স্বতন্ত্র পরিচালক তানভীর আলিসহ শিক্ষার্থীরা।