অবৈধ ফোনের সাথে অন্তত ১৩ ধরনের অপরাধের ঝুঁকি ভ্যাট কমাতে দ্রুতই এনবিআর চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক
অবৈধ ফোন বন্ধে ছাড় নয়; বৈধ ফোনের দাম কমাতে ‘যা যা করা দরকার তাই করা হবে’
নাগরিক, সমাজ, অর্থনীতির ও রাষ্ট্রের বহু স্তরের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষায় অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত এবং ক্লোন করা ফোন বন্ধ করতে সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এতে অন্তত ১৩ ধরনের অপরাধের ঝুঁকি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে গ্রাহকের পর্যায়ে বৈধ মোবাইলফোনের দাম ‘যা যা করা দরকার তাই করা হবে’ বলেও সাফ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী।
১৯ নভেম্বর, বুধবার, সন্ধ্যায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্টে এসব জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
বিশেষ সহহারী জানিয়েছেন, মোবাইল বাজারে শৃঙ্খলা আনতে ১৬ ডিসেম্বরের আগে অ্যাকটিভ সবগুলো ফোন বৈধ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বৈধ পথে বিদেশ থেকে আনা ফোনের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ করতে বিটিআরসি কাজ করছে। ইতোমধ্যেই জানানো হয়েছে যে, ইতিমধ্যে বিটিআরসিতে আলোচনা করা হয়েছে আমদানি শুল্ক কমাতে এনবিআরকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক হবে। পাশাপাশি দেশীয় উৎপাদকদের মূল্য কমাতে বিটিআরসির পক্ষে অনুরোধও জানানো হয়েছে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে এক বছর আগেই কোটি খানেক ফোন এনে দেশকে অবৈধভাবে ডাম্পিং করে ফেলার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবে না। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলছি, কোনো মোবাইল ব্যবসায়ী বা দোকানিদের ব্যবসা নষ্ট করা হচ্ছে না, তারা দেশীয় উৎপাদকদের এবং বৈধভাবে আমদানি করা ফোন বিক্রি করবেন, সৎ পথে ব্যবসা করবেন।
বিশেষ সহকারী আরও বলেন, বর্তমানে ১টা International Mobile Equipment Identity (IMEI) কোডের বিপরীতে লাখ লাখ ফোন বানিয়ে দেশে নিয়ে আসা হচ্ছে। NEIR চালু হলে যা আর সম্ভব হবে না এজন্য NEIR বন্ধে মাফিয়া চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এসব লাগেজ পার্টি, ভুয়া HS code, সীমান্ত চোরাচালানি, কেজি দরে আমদানির দিন শেষ করতে, এর সাথে জড়িত সব ধরনের ডিজিটাল অপরাধ বিস্তারে লাগাম টানা হবে। এখানে কোনো ছাড় নয়।
অবৈধ ফোনের সাথে কম করে হলেও নিম্নলিখিত অপরাধ সমূহ সংশ্লিষ্ট উল্লেখ্য করে তিনি লেখেন, সিমের ভুল রেজিস্ট্রেশন/eKYC এবং সিম সংক্রান্ত অপরাধ, জুয়ার লিংক এবং এমএলএম প্রতারণার বাল্ক এসএমএস পাঠানো, ভুল এমএফএস রেজিস্ট্রেশন/eKYC এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিং সংক্রান্ত অপরাধ, অনলাইন জুয়া ও স্ক্যামিং, অবৈধ ক্লোন ফোন সংক্রান্ত অপরাধ, প্যাটেন্ট ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন রয়্যাল্টি না দেওয়া, আয়কর ও শুল্ক ফাঁকি, ভারত ও চীন থেকে অবৈধ আনবক্সড মোবাইল ফোন আমদানি, বিমানবন্দরের লাগেজ পার্টি, সীমান্ত চোরাচালান, স্থানীয় হ্যান্ডসেট উৎপাদন শিল্প বিকাশকে বাধা দেয়া, চুরি যাওয়া ফোন উদ্ধার, ছিনতাই এবং হারানো ফোন ফেরত ইত্যাদি ইত্যাদি।
তিনি আরও লিখেছেন, প্রবাসীরা বাইরে থেকে নিয়ম মেনে একটি বা দুটি ফোন ফ্রি আনবেন, নিয়ম মেনে রেজিস্ট্রেশন করবেন। কোনো ঝামেলা হবে না। দুটির বেশি ফোনের ক্ষেত্রে এনবিআরের আলাদা নিয়ম রয়েছে, একটা ফি দিতে হয়, এটা পুরোনো নিয়ম। রেজিস্ট্রেশন, ডি-রেজিস্ট্রেশন এবং রি-রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি সমূহ কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সহজ করা যায়, সে বিষয়ে আমরা আপনাদের যৌক্তিক পরামর্শ পেয়েছি এবং পাচ্ছি। এটা আমরা আমলে নিচ্ছি। আমরা ক্লোন করা, অবৈধভাবে আমদানিকৃত ও চোরাচালানকৃত ফোন বন্ধ করবো ইনশাল্লাহ। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ডিবিটেক/জেইউ/আইএইচ







