৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদে রাতে কুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

১৩ মে, ২০২৫  
১৩ মে, ২০২৫  
৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজের প্রতিবাদে রাতে কুয়েট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ করার প্রতিবাদে খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

সোমবার (১২ মে) রাত পৌনে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল প্রদক্ষিণ শেষে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে এসে শেষ হয়।

 এর আগে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রায় ৩ মাস ধরে আমাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম অচল হয়ে রয়েছে। আমাদের সবকিছু স্থবির হয়ে রয়েছে। আমরা স্থবিরতার বিপক্ষে। আমরা চাই সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত চালু হোক, ক্লাস-পরীক্ষা চালু হোক এবং আমরা দ্রুত কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে সবকিছু শেষ করে বের হয়ে যেতে চাই। 

তারা আরো বলেন, স্যারদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা করি, ছাত্রদের উপর যে জুলুম করা হয়েছে সেটার বিচার করা হোক। যারা এই নাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আমরা চাই তাদের বিচার করা হোক। একইসঙ্গে আমরা শিক্ষক লাঞ্ছনারও বিচার চাই।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুশফিক, আইইএম বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাগর, এমএসই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী হিমেল, ইইই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাবমান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম ও সিইসি বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আতিক।

 একই দিন সকালে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।  গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কুয়েট সিন্ডিকেটের সভায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তাদের এ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।  

নোটিশে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ সাতটি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার জানান, নোটিশ দেওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

এদিকে প্রায় তিন মাস হতে চললেও সংকট কাটেনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের। ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষকরা এখনও ক্লাসে ফেরেননি। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় জড়িতদেরসহ

শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িতদের সাত কর্মদিবসের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে চলছে এ কর্মবিরতি।