বাটা-কেএফসিতে ভাঙচুরের ঘটনায় দুই মামলা, গ্রেফতার ৪৯

সিসি ফুটেজ-লাইভ, ধারণকৃত ভিডিও পর্যালোচনা করে দাঙ্গাবাজ-লুটেরাদের সনাক্ত করা হচ্ছে

৮ এপ্রিল, ২০২৫  
৮ এপ্রিল, ২০২৫  
সিসি ফুটেজ-লাইভ, ধারণকৃত ভিডিও পর্যালোচনা করে  দাঙ্গাবাজ-লুটেরাদের সনাক্ত করা হচ্ছে

গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভের সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট, সহিংসতা ও বেআইনি কাজে জড়িত সন্দেহে অন্তত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  এসব ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আরও মামলার প্রস্তুতি হিসেবে সিসি ফুটেজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভ ছাড়াও বিক্ষোভ চলাকালে ধারণকরা ভিডিও পর্যালোচনা করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার  প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেয়া বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানাগেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, “গাজার সমর্থনে মিছিলের সময় বিভিন্ন শহরে সহিংস ও বেআইনি কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষিতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের এসব ঘটনা জননিরাপত্তা ও আইনের শাসনের প্রতি চরম অবমাননা।.. পুলিশ বিক্ষোভ চলাকালে ধারণকরা ভিডিও পর্যালোচনা করছে, যাতে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যায়। অভিযানে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

এছাড়া তদন্তে সহায়তা করতে সাধারণ নাগরিকদের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। কারও কাছে যদি সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য থাকে, তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে।

এদিকে সকালে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, ল সোমবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। যেসব প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

এর আগে সোমবার রাতে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকানপাট ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

আইজিপি বলেছেন, আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং অতিদ্রুত গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ টিম এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।