তুরিন আফরোজের মোবাইল-ল্যাপটপও জব্দ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল জব্দ করেছে পুলিশ। সেখানে সরকারবিরোধী পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মহিদুল ইসলাম। এই পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে তুরিনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে তুরিন আফরোজকে গ্রেফতারের পর উত্তরা পশ্চিম থানায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তরায় আব্দুল জব্বার (২১) নামের একজন ছাত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনায় মামলা হয় তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে। এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ও ল্যাপটপ জব্দ করা হয়েছে। তার মোবাইল ও ল্যাপটপ চেক করে দেখা গেছে তার ফেসবুকে অনেক সরকারবিরোধী প্রচারণা রয়েছে।
সরকারবিরোধী প্রচারণার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার তুরিন আফরোজকে রিমান্ডের আবেদন করে সোপর্দ করা হবে।
তুরিনের বাসা থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে ডিসি মহিদুল ইসলাম বলেন, বাসা থেকে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে তুরিন আফরোজকে গ্রেফতারে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। অভিযান শেষে তুরিনকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, তুরিন আফরোজ ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ২০১০ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেয় প্রসিকিউটর ছিলেন আইনজীবী তুহিন আফরোজ। ওই ট্রাইব্যুনাল গঠনের তিন বছরের মাথায় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযমের মামলাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মামলা পরিচালনায় তিনি ভূমিকা রাখেন। তাকে ২০১৭ সালের নভেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুল হকের বিরুদ্ধে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ওই মামলা চলার মধ্যেই ২০১৮ সালের মে মাসে ট্রাইব্যুনালের সব মামলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তুরিনকে।