ব্রডব্যান্ড আইএসপি লাইসেন্সিং পরিবর্তন না করতে চট্টগ্রামে মানব বন্ধন
দেহের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সুরক্ষার প্রত্যয়

ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে মোবাইল অপারেটরদের মোবাইল অপারেটরদের প্রবেশাধিকার দিতে ব্রডব্যান্ড আইএসপি লাইসেন্সিং নীতিমালায় কোনো ধরনের পরিবর্তন না আনার দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম শাখা। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই মানবন্ধনে ‘সকল আইএসপি ভাই ভাই, একসাথে বাঁচতে চাই; ‘আমার লাইসেন্স, আমার অধিকার, ছিনিয়ে নিতে পারবে না কেউ’; মোবাইল অপারেটর মোবাইলে যাও, দেশীয় আইএসপি-দে বাঁচতে দাও’ . দেশের নেটওয়ার্ক দেশের হাতে, বিদেশীরা আসবে কোন নীতিতে’; বিদেশেী টেলকোর প্রলোভন বুঝে গেছে জনগণ’ ইত্যাদি প্লাকার্ড নিয়ে শতাধিক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী জোর স্লোাগান দিয়েছেন।
মানব বন্ধনে অংশ নিয়ে আইএসপিএবি চট্টগ্রাম শাখার আহ্বায়ক শাহরিয়ার রুবেন্স রাজিব এই দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ফাইবার অপটিকের মাধ্যমে যারা ফিক্সড ব্রডন্ডব্যান্ড সেবা দেন তাদের মধ্যে মোবাইল অপারেটররা এলে দেশের ২২০০ আইএসপি ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা দুই লাখ কর্মসংস্থান হারাবো। এই সেবার সঙ্গে দেশের ১০ লাখ পরিবারের রুটি-রুজি জড়িত। এটা হুমকির মুখে পড়া আমরা কখনোই মানবো না। আমাদের দেহের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে আসতে দেবো না।
মানববন্ধন শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতার স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি’র কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা। দাবিগুলো হলো- ফ্রিক্সড ব্রডব্রান্ড লাইসেন্স শুধুমাত্র দেশীয় ব্রডব্যান্ড আইএসপিদের জন্য সংরক্ষিত রাখা, মোবাইল অপারেটরদের শুধুমাত্র তাদের নির্ধারিত লাইসেন্সের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা এবং বর্তমান আইএসপি নীতি অপরিবর্তিত রেখে নতুন ফি বা কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা।
শাহরিয়ার রুবেন্স ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি চট্টগ্রামের যুগ্ম আহবায়ক নিয়াজ মোর্শেদ, সদস্য সচিব ফারহান ফুয়াদ ও স্থানীয় আইএসপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এক প্রশ্নের জাবাবে রুবেন্স বলেন, যদি দাবি মানা না হয় তাহলে ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ, বিটিআরসি এর সামনে অবস্থান ধর্মঘট করবো।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিটিআরসি থেকে ইউনিফায়েড লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারন্ট সেবা দেয়ার যে পায়তারা চলছে তাতে ইন্টারনেট সেবা খাত ধ্বংসের মুখে ফেলবে। এ কারণেই বিটিআরসি’র এ ধরনের লাইসেন্সিং সংস্কার কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। কেননা এটা করা হলে প্রযুক্তি গত ও নীতিগত বৈষম্য সৃষ্টি করবে। স্থিতিশীল ও নির্ভরযোগ্য সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হবে। মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ইন্টারনেট লাইসেন্স দেয়া হলে তাহলে তারা বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে। বেনিয়া মোবাইল অপারেটরদের একচেটিয়া সুবিধা দেয়া হবে। দেশের টাকা বিদেশে পাচার হবে।