ফোন কেড়ে নেওয়ায় বাবাকে হত্যা!

২৩ মার্চ, ২০২৫  
২৩ মার্চ, ২০২৫  
ফোন কেড়ে নেওয়ায় বাবাকে হত্যা!

চুয়াডাঙ্গার পলাশপাড়ায় মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ায় মাদ্রাসাছাত্র ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা দোদুল হোসেন (৫৩) নিহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ছেলে কেএএম রিফাতকে (১৭) আটক করেছে।

নিহত দোদুল হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের পলাশপাড়ার মৃত কাজী নূর মোস্তফার ছেলে। 

পুলিশ জানায়, বাবা দোদুল হোসেন ছেলেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধ করতেন। গত শনিবার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার পর বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে রাত পৌনে ৮টার দিকে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে রিফাত। একাধিক ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দোদুল। পরিবার ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তারেক হাসান বলেন, ‘নিহতের শরীরের একাধিক স্থানে ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।’ 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ছেলে রিফাতকে গ্রেফর করা হয়েছে। মরদহে হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। পরবর্তীকালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিহত দোদুল হোসেনের মেয়ে মোছা. ঋতু বলেন, ‘রিফাত হাফেজ। আসক্তি বেড়ে যাওয়ায় আব্বু তাকে মোবাইল ব্যবহার করতে নিষেধ করতেন। আজ (শনিবার) সকালে মোবাইল কেড়ে নিয়েছিলেন। রাতে আব্বু ঘরে তারাবির নামাজ পড়ছিলেন। আম্মু অজু করছিলেন। আমি পাশের রুমে ছিলাম। হঠাৎ আব্বুর চিৎকার শুনে দ্রুত গিয়ে দেখি রিফাতের হাতে ছুরি। সে আব্বুর গায়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করছে আর আব্বু ঠেকানোর চেষ্টা করছেন। আমি আর আম্মু কোনো রকমে রিফাতকে ধরে সরিয়েছি। পরে পাড়ার লোকজন এসে আব্বুকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সেখানে আব্বু মারা যান।’