ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি
মেট্রোরেলের নকশা রিখটার স্কেলে ৭ থেকে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করার সক্ষমতা রাখে। আর সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে মেট্রোরেলের কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট (ভৌত সরণ বা স্থানচ্যুতি) হয়নি বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ।
১ ডিসেম্বর, সোমবার রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় মেট্রো লাইনের উপর গত কয়েকটি সাতটি ককটেল পাওয়ার কথা জানিয়ে ফারুক আহমেদ আরও বলেন, “মানুষের হিউম্যান সাইডটা বাড়াতে হবে। আপনি যদি হিউম্যান সাইড না বাড়ান, তাহলে আমি যতই সিকিউরিটি ইনফোর্সমেন্ট করি না কেন, সেটি কখনো কার্যকর হবে না।
“গত সপ্তাহের ট্র্যাকের উপর ড্রোন পড়েছে। গত কিছুদিনে টোটাল সাতটা ককটেল পাওয়া গেছে। আমরা জনগণের সচেতনতার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা পজিটিভ কিছু লিখুন।
“এই সম্পদটা শুধু ডিএমটিসিএল এর না। এই সম্পদটা আমাদের সবার- আমরা যেন এটা রক্ষা করতে পারি।”
রোববার রাতে ঢাকার সচিবালয় এলাকায় মেট্রোরেলের ছাদে এক কিশোর উঠে পড়ায় এ যান সেদিনের মতো বন্ধ হয়ে পড়ে।
ওই কিশোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরের পরিচালনাকারী কোম্পানি ডিএমটিসিএল।
কোম্পানির এমডি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি পাবলিক সিকিউরিটির বিষয়। এটি নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেট করছে।”
ফারুক আহমেদ বলেন, আমরা বারবারই বলেছি যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে প্রধান। কোনো ইনসিডেন্ট ঘটলে সবার আগে পাবলিককে ডিসকানেক্ট করব আমরা। ভূমিকম্পের পরে ৪/৫ ঘণ্টা পুরো মেট্রোরেলের সব স্ট্রাকচার আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। সেখানে আমিও ছিলাম। কোনো কিছু ঘটলে নরমালি আমরা একটা ট্রেন টেস্ট রান চালাই পাবলিক সার্ভিসের আগে। ওইদিন আমরা দুটি ট্রেন দুইদিক থেকে চালিয়েছি। এ ছাড়া ফার্মগেট ও বিজয় সরণি এলাকায় বিয়ারিং প্যাডগুলো আমরা ফিজিক্যালি চেক করেছি। এটার জন্য আমাদের ট্রেন চালাতে ২৭ মিনিট দেরি হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পরে আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছু দেখেছি। মেট্রোরেল ভেঙে পড়েছে, সেটাও দেখেছি। এটা যে এআই প্রডিউস, এটা তো নির্ধারণ করতে আমাকে সময়টুকু দেবেন। আমরা পুরোটা চেক করে যেটা দেখেছি কোনো ফিজিক্যাল ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি। একটা দেয়ালে একটু ক্র্যাক হয়েছে, দুইটা টাইলস পড়েছে, সিলিং থেকে দুইটা সিলিং প্যাড খুলেছে। আমার বাসার দেয়ালও তো ফেটেছে। এখন এই দেয়াল কেন ফেটেছে সেটা তো আমি বলতে পারব না।
সংবাদ সম্মেলনে এমআরটি লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল ওহাব বলেন, “ছেলেটিকে সংশোধনাগার পাঠানো হয়েছে। ছেলেটি সাধারণত আমাদের বাসা-বাড়িগুলোতে থাকে না, হয়তো ফুটপাতে বা অন্য কোথাও থাকে।
“তার হয়তো মনে আর্ট ছিল—‘আমরা তো অন্য ট্রেন গুলোর ছাদে উঠে যেতে পারি, তাহলে এটার ছাদে উঠে যাওয়া যাবে’। এখানে ছাদে চড়া অনেক ডেঞ্জারাস।
“উপরে ১৫০০ ভোল্টের লাইন। এখানে সে যেকোনো সময় মারা যাবে। আপনারা সবাইকে বলুন, এই ট্রেনের ছাদে চলে যাওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এই ট্রেনের ভেতরে চলে যেতে হবে, এর বাইরে কোথাও গেলে তার জীবনহানি হতে পারে।”
ডিবিটেক/ডিপি/ইকে







