প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বৈঠক

পশ্চিমা দেশ ও এশিয়ায় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে শীর্ষস্থানীয় চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টার সফর কালে শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোর সাথে গোলটেবিল আলোচনার পরে পরিকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, প্রযুক্তি শিল্প ও শিক্ষা খাতের নেতাদের সাথে তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্বের বৃহত্তম সৌর প্যানেল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান লংগি, মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অপ্পো, চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন কোম্পানি, হিসেনস ইন্টারন্যাশনাল, গাওতু এডুকেশন টেকনোলজি গ্রুপ, চায়না বায়োটেক এন্ড ফার্মাসিটিক্যালস ভ্যালি, চায়না ইন্টারনেট, চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন এবং চায়না রেলওয়ে ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ‘বাংলাদেশ ২.০: প্রবৃদ্ধির প্রবেশদ্বার’ শীর্ষক একটি উপস্থাপনায় বিভিন্ন উপাত্ত উল্লেখ করে খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ, চাহিদার প্রেক্ষাপট ও উৎপাদন প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন।
এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা একটি উচ্চ পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে সামাজিক ব্যবসা এবং ‘থ্রি জিরো’ বিষয়েও বক্তব্য রাখেন। সেখানে অধ্যাপক ইউনূস নতুন এক সভ্যতা তৈরির আহ্বান জানান, যেখানে থাকবে: শূন্য সম্পদ কেন্দ্রীভূতকরণ, শূন্য কার্বন নির্গমন, শূন্য দারিদ্র্য ও শূন্য বেকারত্ব।চীনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিপিআইটি) সহ-সভাপতি লি কিংশুয়াং বাংলাদেশ বিনিয়োগ সংলাপে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে চীনা বিনিয়োগকারীরা বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে এবং তাদের অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানান তিনি।।
এ সময় লি কিংশুয়াং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে চীনে আরও বিনিয়োগ প্রচারমূলক ইভেন্ট আয়োজনের অনুরোধ করেন। এখনো অনেক বিনিয়োগকারী দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে কারখানা স্থাপনের সুযোগ সম্পর্কে সচেতন নন উল্লেখ করে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে তার সংস্থা বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগ সহজতর এবং দেশটিতে বিনিয়োগ প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
বৈঠক বিষয়ে আশিক চৌধুরী বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উৎসাহমূলক প্রশ্ন পেয়ে আমরা অনুপ্রাণিত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় যে বিনিয়োগ সম্মেলন হতে যাচ্ছে, সেখানে চীন থেকে সবচেয়ে বড় প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে, তবে এই সংলাপের পর সেই সংখ্যাটা আরও বড় হবে আশা করি।