পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সমাবেশস্থলে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ কমাতে ধুলাবালি নিবারণে ২০২৩ সাল থেকে অত্যাধুনিক স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে পানি ছিটাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে এবারই প্রথম বিক্ষোভ পরিবেশের তাপ কমাতে এই মেশিন ব্যবহার করতে দেখা গেল।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শুরুর হওয়ার পরে সমাবেশস্থলের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে সিটি করপোরেশনের স্প্রে ক্যানন দিয়ে পানি ছিটায়। তখন হাঁসফাঁস থেকে স্বস্তি পান প্রচণ্ড রোদে সমাবেশস্থল গরমে অতিষ্ঠ আন্দোলনকারীরা।
বিকেলে ৩টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্প্রে ক্যানন পানি ছিটানো শুরু করে। সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশস্থলে ডিএনসিসির দুটি স্প্রে ক্যাননের গাড়ি উপস্থিত হয়। পরে এর মধ্যে একটি গাড়ি বিকেল তিনটা থেকে পানি ছিটানো শুরু করে, যা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে।
স্প্রে ক্যানন দিয়ে পানি ছিটানোর পর সমাবেশস্থলে উপস্থিত থাকা আন্দোলনকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানি ছিটিয়ে স্বস্তি দেওয়ায় আন্দোলনকারীরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এমন উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানায়।
এদিকে সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ছাত্র-জনতাকে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে সমাবেশে অংশ নিতে দেখা গেছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে। হাসনাত আবদুল্লাহ এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন। তার আহ্বানে সাড়া দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে যোগ দেন। রাত ২টায় যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া বিক্ষোভে যোগ দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরাও।
