দায়িত্ব ছাড়ার পর নাহিদের ব্যাংক হিসেবে স্থিতি ১০ হাজার ৬৯৮ টাকা!
নতুন রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিয়ে ছাত্র-জনতার কাতারে দাঁড়াতে মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পদ ছেড়েছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এর পরদিন বুধবার নিজের ফেইসবুক আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে নিজের সম্পদের হিসাব দিয়েছেন তিনি। পোস্টে উপদেষ্টা হওয়ার আগে তার কোনো ব্যাংক হিসাব ছিল না জানিয়ে নিজের ব্যাংক স্টেপেন্টের কপিও সংযুক্ত করেছেন।
নাহিদ তার পোস্টে লিখেছেন, “উপদেষ্টা পদে যোগদানের আগে আমার কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল না। ২১ অগাস্ট উপদেষ্টা পদে দায়িত্ব পালনের জন্য সম্মানী গ্রহণের লক্ষ্যে সরকারিভাবে সোনালী ব্যাংকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলি। উক্ত অ্যাকাউন্টে ২১ আগস্ট ২০২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত লেনদেনের হিসাব জনগণের কাছে উপস্থাপন করছি।”
তিনি লিখেছেন, উপদেষ্টা পদে ছয় মাস পাঁচ দিন দায়িত্ব পালনকালে সে ব্যাংক হিসাবে ১০ লাখ ৬ হাজার ৮৮৬ টাকা জমা এবং ৯ লাখ ৯৬ হাজার ১৮৮ টাকা উত্তোলন করেছেন। সোনালী ব্যাংকের সে হিসাব ছাড়া তার অন্য কোনো ব্যাংক হিসাব নেই বলেও তিনি তার পোস্টে তুলে ধরেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাশ নাহিদ লিখেছেন, উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বা তার পরিবারের কেউ কোনো সম্পদ কেনেননি।
তিনি বলেন, “উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন, আমার বা আমার পরিবারের কোনো সদস্যের (স্ত্রী/মা/বাবা) নামে বাংলাদেশের কোথাও জমি বা ফ্ল্যাট নেই বা আমার বা আমার পরিবার কর্তৃক ক্রয় করা হয়নি।”
পোস্টে তার একান্ত সচিবের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও দিয়েছে নাহিদ।
তিনি লিখেছেন, “আমার একান্ত সচিবের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ এর হিসাবে ৩৬ হাজার ২৮ টাকা রয়েছে। উনি একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর উনার নিজের নামে বা উনার পরিবারের (স্ত্রী/মা/বাবা) কারো নামে বাংলাদেশের কোথাও কোনো সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।”
নাহিদ লিখেছেন, তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্পদের স্বচ্ছ হিসাব সংরক্ষিত রয়েছে এবং প্রয়োজনে তা উন্মুক্ত করা হবে।
তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ অনুযায়ী বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি দপ্তরে এই তথ্য যে যাচাইযোগ্য সে কথাও তিনি তার পোস্টে স্মরণ করিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, নাহিদের ডাক নাম ফাহিম। তার বাড়ি ঢাকার খিলগাঁও দক্ষিণ বনশ্রীতে।
