ভুয়া তথ্যের পোস্ট সরিয়ে ফেললেন জয়

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং জুলাই আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়কের ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম বাইন্যান্স অ্যাকাউন্টের হিসাব প্রকাশ করেছে এমন একটি অখ্যাত ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করে পোস্ট দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
পোস্টটি শেয়ার করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জয়কে ‘অপতথ্যের জনক’ ও ‘ডিজিটাল লুট মাস্টার’ আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। এরপর বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে পোস্টটি সরিয়ে ফেলেছেন বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র জয়।
জয় পোস্ট সরিয়ে ফেললে শফিকুল আলম আরেক পোস্টে লিখেছেন, তথ্যবাবা ঘুম থেকে উঠে আমার সঙ্গে নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সম্পর্কে একটি ভুয়া খবর শেয়ার করেন। কয়েক ঘণ্টা পর সেটি সরিয়ে ফেলেন।
তিনি লেখেন, এই হলো সেই অপতথ্যের জনক, যাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা পূজা করেন। এই সেই তথাকথিত হার্ভার্ড থেকে পড়াশোনা করা ডিজিটাল লুট মাস্টারের কাজের নমুনা। এটি তার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া এক ধরনের জিনগত রোগ, যিনি জন্মগতভাবে মিথ্যাবাদী।
প্রেস সচিব লেখেন, তার মা একমাত্র সত্য কথাটি তখনই বলেছিলেন, যখন তিনি গর্ব করে একদল মোসাহেব সাংবাদিককে জানিয়েছিলেন, তার পিয়ন ৪০০ কোটি টাকা (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ৩২ মিলিয়ন ডলার) আয় করেছে। ওই কোটি টাকার পিয়নের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু হলে দেখা যায়, তিনি আসলে ৬৩০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ কামিয়েছেন।
জয়ের ওই পোস্ট নিয়ে সুমন আলী নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে নিয়েই প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও সারজিস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একটি সংবাদ চোখে পড়ল। বিস্তারিত জানতে গিয়ে দেখলাম যে সাইটে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি আসলে কোনো সংবাদমাধ্যম নয়।
তিনি লেখেন, ওই সাইটটি ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা একটি ব্লগ সাইট। যে কেউ এই ধরনের সাইট চালাতে পারে। ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর চালু হওয়া সাইটটিতে ২৩টি নিউজ (পোস্ট) আছে যার প্রায় সবগুলো বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে করা। আমিনুল হক পলাশ নামের একটি আইডি থেকে নিউজটি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, পলাশ বুয়েটে ছাত্রলীগ করতেন। দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করা পলাশ বর্তমানে যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। আওয়ামী লীগের লোকজন এই সংবাদটি শেয়ার করছেন। দেখলাম দেশের জ্যেষ্ঠ কিছু সাংবাদিকও এই নিউজটি শেয়ার করেছেন। আসলে যে সাইটে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে সেটি কোনো সংবাদমাধ্যম নয় বরং একটি গুজব ওয়েবসাইট।