চীনের মতো আমাদেরও ভাবা উচিত!
পিনাকী ভট্টাচার্য
চীনে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, গুগল, গুগল ম্যাপ, হোয়াটসঅ্যাপ, এমনকি ক্রোম ব্রাউজারও ব্যান!
শুরুতে শুনে বিরক্ত লাগলেও এখন বুঝতে পারছি—ওরা আসলে অনেক আগেই অনেক বড় এক বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করেছে।
আজকের একটি নিউজ দেখে বুকটা কেঁপে উঠল।
দেখলাম, ইসরায়েল এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি মানুষদের টার্গেট করে হ,ত্যা করছে!
AI নিয়ে কাজ করি বলেই মাঝে মাঝেই গভীরে ঘাঁটতে হয়, আর সেখান থেকেই একটা কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় AI-এর সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে ডেটা। যত বেশি ডেটা, তত বেশি শক্তিশালী মডেল। আর এই ডেটা আমরা নিজেরাই প্রতিদিন ফ্রিতে দিয়ে যাচ্ছি—একটা বড় মস্ত ভুল করে।

আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করলেই গুগল আপনার লোকেশন ট্র্যাক করে

ফেসবুক চায় আপনার কনট্যাক্ট লিস্ট, যেন আপনাকে আর আপনার নেটওয়ার্ককে পুরোপুরি চিনে ফেলে

আপনার ফোনে “Ma”, “Baba”, “Boro Vai” নামে সেভ করা নম্বরগুলো থেকেই তারা বুঝে ফেলে কার সাথে আপনার কী সম্পর্ক

আপনার ব্রাউজার (ক্রোম) মনে রাখে সব পাসওয়ার্ড, মেইল, ব্রাউজিং হিস্ট্রি—একদম হাতের মুঠোয় আপনার ডিজিটাল লাইফ!
আর আপনি যেসব পারিবারিক ছবি পোস্ট করেন… আপনি ভাবতেই পারবেন না, সেগুলো একেকটা ডেটা পয়েন্ট।
একটা যুদ্ধের সময় এগুলোই আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হয়ে দাঁড়াবে।
এখন প্রশ্ন হলো—উপায় কী?

ছোট্ট সমাধান: ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে না দেওয়া

বড় সমাধান: আমাদের নিজেদের বিকল্প তৈরি করা—যেমন চীন করেছে।
চীনের মতো নিজেদের প্ল্যাটফর্ম না বানালে আমরা কখনোই স্বাধীন নই, শুধু আধুনিক দাস! যাদের হাতে আপনার সবকিছু—তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আগে ভাবুন, আপনার শক্তি আসলে কোথায়?
দ্রষ্টব্য: অভিমত-এ প্রকাশিত পুরো মতামত লেখকের নিজের। এর সঙ্গে ডিজিটাল বাংলা মিডিয়া কর্তৃপক্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। বহুমতের প্রতিফলন গণমাধ্যমের অন্যতম সূচক হিসেবে নীতিগত কোনো সম্পাদনা ছাড়াই এই লেখা প্রকাশ করা হয়। এতে কেউ সংক্ষুব্ধ বা উত্তেজিত হলে তা তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।