‘কেমন ই-ক্যাব চাই’: দুই প্যানেলের বিপরীতে এক মঞ্চে ই-ক্যাবের স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা

১১ মে, ২০২৫ ১০:২০  
১১ মে, ২০২৫ ১১:৫৩  
‘কেমন ই-ক্যাব চাই’: দুই প্যানেলের বিপরীতে এক মঞ্চে ই-ক্যাবের  স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা

আগামী ৩১ মে অনুষ্ঠিতব ই-ক্যাব দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন ৩৬ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ২৭ জনই নতুন মুখ। সংগঠনের মোট ২৮৪২ জন সদস্যের মধ্যে এবার ভোটার হয়েছেন ৫০২ জন। এদের নিয়েই শনিবার রাতে রাজধানীর পান্থপথের সামারাই কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হলো ই-ক্যাব ২০২৫-২৭ ভোটের ‘ভোটার ও প্রার্থী মিট অ্যান্ড গ্রিট’।

সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান থাকলেও ভোটার ও প্রার্থীরা আসতে দেরি করায় অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত ৯টায়। ফলে দুই ঘণ্টার প্রশ্নোত্তর শেষ করতে হয় মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পাকাপেঁপে সিইও এবং প্রার্থী আব্দুল আলিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দুইটি প্যানেলে ২২ জন সদস্য আত্মপ্রকাশ করার পাশাপাশি নিজেদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন স্বতন্ত্র্য ১৪ প্রার্থী।  

স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- রেড কনসেপ্ট স্বত্বাধিকারী জাহিদুজ্জামান সৈয়দ; মাস্টার ইঞ্জিনিয়ারিং সিইও আনোয়ার সাদাত; টপ ট্রেন্ডজ স্বত্বাধিকারী রায়হানা বেগম; এসএম ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.সোফায়াত মাহমুদ; মহাসাগর.কম লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম; বিডি এক্সক্লুসিভ স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন; অ্যামেজিং সফট সিইও মোঃ মহসিন ইকবাল; খোলাবাজার এর জিএম ফারুক হোসেন; ই-কমার্স ইনফোটেক সিইও খালিদ সাইফুল্লাহ; স্নো এন রেইন স্বত্বাধিকারী মোঃ কামরুল আলম; পাকাপেঁপে সিইও আব্দুল আলীম চৌধুরী; এম এম লেদার স্বত্ত্বাধিকারী কাজী মহসিন মমিন; রঙ্গন ইন্টারন্যাশনাল স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ ফারুক হোসেন এবং মিনিমাল পরিচালক আসিফ মাহমুদ

ব্যক্তি উদ্যোগে আয়োজিত ‘কেমন ই-ক্যাব চাই’ নামের এই অনুষ্ঠানে প্রশাসক উপসচিব মোঃ সাঈদ আলী উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি অংশ নেননি। তবে প্রায় ২০০ ভোটারের উপস্থিতিতে টিম ইউনাইটেড ও টিম টাইগার সম্মিলিত ভাবে স্টেজে উঠে ভোটারদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। প্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ৭-৮ জন ভোটার। প্রার্থীরা তাদের প্রশ্নের জবাব দিলেও সুনির্দিষ্ট কোনো ইশতেহার দেননি। 

অবশ্য সবার কণ্ঠে ই-ক্যাবকে সদস্য বান্ধব করা; সরকারি সামস্যা ও জটিলতা দূর করা এবং এসএই ঋণের ব্যবস্থা করার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। জোরো শোরে উচ্চারিত হয়েছে ব্যবসায় সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার। একইসঙ্গে নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে নিজেদের ব্যবসায় পরিবেশ উন্নয়ন ও নীতিমালাকে সব সদস্যদের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি করার বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। 

অনুষ্ঠানে টিম ইউনাটেড প্যানেল থেকে এজিউর কুইজিনের মোছা. জান্নাতুল হক শাপলার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে ভোটারদের কাছে রায় চেয়েছেন ডায়াবেটিস স্টোর লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, পার্পেল আইটি লিমিটেডের ছালেহ আহমদ, নিজল ক্রিয়েটিভের আবু সুফিয়ান নিলাভ ভূইয়া, বিক্রয় বাজার ডটকমের এস এম নুরুন নবী, ক্লিন ফোর্স লিমিটেডের মো. তাসদীখ হাবীব, ক্ষেত খামারের মো. নুর ইসলাম বাবু, নওরিনস মিররের স্বত্ত্বাধিকারী হোসনে আরা নূরী, ওয়ান মল লিমিটেডের সাইফুর রহমান, এক্সপ্রেস ইন টাউন লিমিটেডের সৈয়দ উছ‌ওয়াত ইমাম এবং ইনছেপশন টেকনোলজিস লিমিটেডের মোহাম্মদ এমরান। 

অপরদিকে  গ্রীন ডাটা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভোট চান টিম টাইগারের সদস্য ও লন্ডন বাজার বিডির স্বত্বাধিকারী আব্দুস ছালাম; মেনসেন মিডিয়ার স্বত্ত্বাধিকারী তৌহিদা হায়দার; ফার্নিকমের স্বত্ত্বাধিকারী ময়নুল হোসেন;  অদম্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মো. নাজিব উল্লাহ; ইপাইকার এক্সটেনসিভ লিমিটেডের চেয়ারম্যান শেখ শাফায়াত হোসেন;  আমার গেজেট ডটকমের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম; টপ মোরের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী মুকিতুজ্জামান এবং টাকশাল ডটকমের স্বত্ত্বাধিকারী মো. মাহাবুব হাসান। শুধুমাত্র চালডাল ডটকম এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জিয়া আশরাফ ও এটোভা টেকনোলজির স্বত্ত্বাধিকারী ফেরদৌস আলম এসময় দলীয় প্যানেল উপস্থাপনায় অনুপস্থিত ছিলেন। একইভাবে স্বতন্ত্র ১৪ প্রার্থীদের মধ্যে সব প্রার্থীই উপস্থিত হন। তবে একইসঙ্গে স্টেজে উঠে ১০ জন। একে এক নিজেদের কথা বলেন এবং ভোটারদের প্রশ্নের জবাব দেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাকাপেঁপে সিইও এবং ই-ক্যাবের নতুন সদস্য এবং নির্বাচনের প্রার্থী আব্দুল আলিম চৌধুরী বলেছেন, আমার নমিনেশন বাতিল হয়েছিলো। দুই দিন আগে পেয়েছি। তবে আমি ভোটে না জিতলেও আমি চাই রাজনীতি প্রভাবমুক্ত একটি ট্রেডবডি হতে চাই। বিজনেস নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করতে চাই। আমি চাই একজন ভোটার যেন স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারে; কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে সে জন্য একটি সমান্তরাল পরিবেশ তৈরি করতে একক ভাবেই এই দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আমি মনে করি, সিটি কর্পোরেশন যদি রাস্তা পরিস্কার না করলে নাগরিকের তা পরিস্কারে যেমন এগিয়ে আসতে হয়; আমিও তাই করেছি।