পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রতিযোগিতায়
সার্ক-সেরা বাংলাদেশের ‘প্লাস্টিক্স ২.০’

দক্ষিণ এশিয়ায় নদী ও সামুদ্রের প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দেখিয়ে প্লাস্টিক ফ্রি রিভার্স অ্যান্ড সি ফার সাউথ এশিয়া (PLEASE) হ্যাকাথন জয় করেছে বাংলাদেশের পরিবেশ প্রযুক্তি উদ্ভাবনী দল প্লাস্টিক্স ২.০ (Plastix 2.0)। বাংলাদেশের দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫জন শিক্ষার্থী মিলে গঠন করে এই দলটি।
রঙ, গন্ধ এবং দূষক অপসারণ করে, পুনর্ব্যবহৃত পলিপ্রোপিলিন প্লাস্টিককে প্রায় নতুন করে তোলে এবং খাদ্য গ্রেডের মান উন্নত করে এমন একটি প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন দেখিয়ে দেশের জন্য এই গৌরব বয়ে আনে বাংলাদেশ দলের সদস্যরা। এই দলের সদ্যরা হলেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড সায়েন্স (UITS) এর সিয়াম বিন এইচ রহমান এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি’র (IUT) তাকী তাজওয়ারুজ্জামান খান, আহাবাব ইমতিয়াজ রিসাত, তাসনিম আশরাফ এবং জাফরিন শায়লা।
প্রতিযোগিতা বিষয়ে ইউআইটিএস অধ্যাপক সাফায়েত হোসেন জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে পরিবেশ-প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিষয়ক এই হ্যাকাথনের আয়োজন করে জাতিসংঘের সাউথএশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম (SACEP)। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ও UNOPS-এর সহায়তায় পরিচালিত পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত এই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের পাশাপাশি অংশ নেয় আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ২৫০-এর অধিক তরুণ প্রতিযোগী। এরমধ্যে ৯৮টি দলে বিভক্ত হয়ে দেশের অভ্যন্তর এবং মহাদেশীয় নদী ও সমুদ্রের প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনার টেকসই সমাধান প্রস্তাব করে দলগুলো। দেশভিত্তিক বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২৩টি দল ডাক পায় চূড়ান্ত পর্বে। গত ৬ এপ্রিল এই আসরটি বসেছিলো শ্রীলঙ্কার কলম্বো শহরে অবস্থিত সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলে। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি দল তাদের উদ্ভাবনী ধারণা উপস্থাপন করে। সেগুলো থেকে অন্তরর্ভূক্তিমূলক ও টেকসেই সমাধান বেছে নেন বিচারকরা। তাদের উপস্থাপিত সমাধানের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, বাস্তবায়নযোগ্যতা, ব্যবসায়িক মডেল, আঞ্চলিক কার্যকারিতা এবং পরিবেশ ও সমাজের ওপর প্রভাব বিবেচনা করে গত ১৩ এপ্রিল ঘোষণা করা হয় বিজয়ী দলের নাম।