‘ডিজিটাল ইউনিয়ন’ কার্যক্রম শুরু করলো বিকাশ

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  
‘ডিজিটাল ইউনিয়ন’ কার্যক্রম শুরু করলো  বিকাশ

বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রামীন জনপদের মানুষকে সহজ ও নিরাপদ ডিজিটাল লেনেদেনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে কুমিল্লার দুটি ইউনিয়নে ‘ডিজিটাল ইউনিয়ন’ কার্যক্রম শুরু করেছে বিকাশ। সারাদেশে বছরব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্য নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলার জগন্নাথপুর ও পাঁচথুবী ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে এই আয়োজনের যাত্রা শুরু হয়। বাউলগান, বর্ণিল র‌্যালি, উঠান বৈঠক সহ নানা উদ্যোগে এই দুই ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যাত্রা শুরু হয় ভিন্নধর্মী এই আয়োজনের।

 

সারাদেশের প্রান্তিক মানুষকে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে অভ্যস্ত করে তাদের প্রতিদিনকার লেনদেনে আরও সক্ষমতা ও স্বাধীনতা বাড়াতে শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ নিয়ে আসছে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল লিটারেসি আরও বাড়াতে ইউনিয়ন ভিত্তিক এই কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

এই কার্যক্রমের আওতায় বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বৈঠক, মাইকিং, ভিডিও শিক্ষা কার্যক্রম, বাউলগান, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে কীভাবে সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে ডিজিটাল লেনদেন করা যায় সে বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হবে। বিকাশ এর মাধ্যমে বিল প্রদান, মাইক্রোফিন্যান্সসহ অন্যান্য সব প্রয়োজনীয় সেবা ও নিরাপদে মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে ডিজিটাল ইউনিয়ন কার্যক্রমে। পরবর্তীতে এই উদ্যোগ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও সম্প্রসারিত হবে।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ইউটিলিটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিকাশ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। তারা স্থানীয় জনগণকে ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক জীবনযাত্রায় আরও স্বাচ্ছন্দ্য, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা ও সফলতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

 

প্রসঙ্গত, বিকাশ এর পে বিল সেবা গ্রাম ও প্রান্তিক মানুষের বিদ্যুৎ বিল প্রদান সহজ করে দিয়েছে। তারা এখন যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে শুধু নিজের বিলই নয়, পরিবার-পরিজনের বিলও পরিশোধ করতে পারছেন নিজেদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই। একইভাবে, গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপের ‘মাইক্রোফাইন্যান্স’ পেমেন্ট অপশন থেকে বিভিন্ন এনজিও’র সঞ্চয় ও ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারছেন।