ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গুড়িয়ে দেয়া হবে

ইগভর্নেন্স; ইন্টারনেট অ্যফোর্ডেবিলিটিতে বিশ্বে আমরা পিছিয়ে আছি। এজন্য তিনটি লেয়ারে বিন্যস্ত হবে আগামী দিনের নেটওয়ার্ক টপলোজি। বৈশ্বিক মানে এগিয়ে যেতে এই সিদ্ধান্তে লাইসেন্সের সীমা সংখ্যায় না বেধে কেপিআই নির্ধারণ করে দেবে। আগামী জুন থেকে শুরু হবে ডিরেগুলেশন। ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক প্রভাব ছেঁটে ফেলা হবে। এ জন্য ডিজিটাল সেবা বাড়াতে হবে। আইওটিতে নজর দিতে হবে। এই সেবার পথে বাঁধা গুড়িয়ে দেয়া হবে। ব্যবসায় অ্যাক্টিভ শেয়ারের সুযোগ উন্মোচন করা হবে। এক্ষেত্রে তিন বছরের মধ্যে মেট্রোতে মাটির নিচে শতভাগ টেলিকম ফাইবার স্থাপন করতে হবে।
শনিবার দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার আইসিটি ও টেলিকম হাতের বিশেষ সহকারি আহমদ তৈয়্যব।
তিনি বলেছেন, আগামী দুই বছরে বৈশ্বিক সব সূচকে ৩০ এর মধ্যে আনা হবে। এই কাজে নীতি হাল নাগাদে যারা টাকর বস্তা নিয়ে প্রভাবিত করবে তারা নিজেদেরই ধ্বংস ডেকে নেবে।
তিনি আরো বলেন, বলেন, বাংলাদেশের ইন্টারনেটের কোয়ালিটি বিবেচনায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় দাম সবচেয়ে বেশি। এখনো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগের জন্য আলাদা ইন্টারনেট ব্যবস্থা নেই। তাই বৈশ্বিক মানে নিজেকে বিবেচনা করতে পারি না। এজন্য আমাদের প্রথম উদ্যোগ টপোলজি পরিবর্তন। আমরা অনেকগুলো লাইসেন্স তুলে ফেলবো। লাইসেন্স লিমিটেড থাকবে না, লাইসেন্সের শর্ত পূরণের জন্য সময় দেওয়া হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে তা পূরণে ব্যর্থ হলে জরিমানা করা হবে।
দাম কমাতে নিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, একই দামে ১০ এমবিপিএস দিচ্ছেন, ২০ এমপিপিএস দিতে পারবেন। এটা আপনাদেরকেই মনিটর করতে হবে।
ডিডব্লিউডিএম- নিয়ে তিনি বলেন, আমরা পিছনের দিকে হাটছি না। আমরা বার্তা দিতে চাই, আপনারা যারা ব্যবসায়ী তারা ব্যবসা করেন। আপনারা রাজনৈতিক বা ইনফ্লয়েন্সারদের কাছে যাবেন না। আমরা চাই ভয়েস ওভার ওয়াইফাই দ্রুত আসুক। আউট ডোরের উপর থেকে ইনডোরে নিয়ে আসি। যাতে কোয়ালিটিটা নিশ্চিত করতে পারি। একই সাথে টেলকো গ্রেডর ফাইবার নেই। ওভার হেডেড ফাইবারকে টেলকো গেডের বলা যায় না। শতভাগ ফাইবার আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকবে।
ইন্টারনেট বন্ধ করার কলাকানুন বন্ধ করে দেব। ফ্রিল্যান্সাররা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিনিয়োগে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমাদের বিশ্বকে দেখানোর দরকার আছে যে ইন্টারনেট আর বন্ধ হবে না- এটা বিনিয়োগকারীদের দেখানোর বাধ্যবাধকতা আছে সেটা আমাদের দেখাতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, আমরা সবাই শুধু নিজের স্বার্থ দেখে এসেছি। আমরা চাই একটি ক্যাটাগরির লাইসেন্স আরেকটি ক্যাটাগরির সাথে সমন্বয় করে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করুক। তাই নেটওয়ার্ক টপোলজি ও একটিভ শেয়ারিংয়ের ফরম নিয়ে আলোচনা করছি। এক দেশ এক রেট নিয়ে আমরা আবার কাজ করবো। আইএসপিতে যেসব ক্যাটাগরি না থাকবে না। এখানে শুধু একটি ক্যাটাগরি থাকবে। তাই লাইসেন্স আপগ্রেডেশনের প্রশ্ন আর উঠবে না। এনটিটিএন লাইসেন্সকে একটি লাইসেন্স ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসতে চাই। তবে ব্যবসায়িক টিকে থাকতে কনটেন্ট এন্ড ডিজিটাল সেবা ইন্টিগ্রেটেড করার ওপর গুরু তরপ করেন ইতিহাসের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, যারা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা দেবে তারা ওয়্যারলেস দিতে পারবে না। আর যারা ওয়্যারলেস সেবা দেয় তারা ফিক্সড ব্রডব্যান্ড সেবা দিতে পারবে না। তবে বিজনেস টু বিজনেস যদি কোনো কথা হয় তা হতে পারে।
গোল টেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবি সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান। টিআরএমবি সভাপতি সমীর কুমার দেব সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন।