গ্রাহকের সাধ্যের মধ্যে মানসম্মত ইন্টারনেট সেবায় সমন্বয়ের আহ্বান

গত ৮ মাসে দেশে ১৭ শতাংশ দাম কমিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। তারপরও বিগত সময়ে গ্রাহক বাড়লেও ডেটার ব্যবহার বাড়েননি। তাই দামের চেয়ে মান এবং কন্টেন্টে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান এমটব মহাসচিব মোহাম্মদ জুলফিকার।
তবে টেলিকম ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তফা মামুন হোসেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের আয় কম নয়। তিনি বলেন, গ্রামীনফোনের টেলিনর এবং রবির ফাদার কোম্পানি আজিয়েটার আয়-ব্যয়ের হিসাব দেখলে তাদের ৭০ শতাংশের মতো ইবিআইটি দেখেছি। তারা উভয় হয় করছে। বছরে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটে সবগুলো অপারেটরের মোট আয় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এনটিটিএন এর পেছনে তাদের খরচ দশমিক ৫ শতাংশ। এই হিসেবে তিন এনটিটিএন এর আয় ৬০০ কোটি টাকা। ৬০০ কোটি টাকা ৩৬ হাজার কোটি টাকার কত শতাংশ? ব্রডব্যান্ডে এই সুযোগটা দেয়া হলে এই টাকাটা পুরোটাই দেশে থাকবে।
আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক করিম ভূঁইয়া মাসে করেন, ফাইবার মাটির নিচে গেলে প্রতিমানে ১০০ কোটি টাকা বাঁচবে। ধানমন্ডিতে এ কাজে সফল হয়েছে আইএসপিএবি। তবে এখনো এই প্রকল্প বিকাশের অনুমোদন হয়নি।
তিনি আরো বলেন, কেন একটিভ শেয়ারিং হচ্ছে না জানি না। প্রতিমাসে আইএসপিরা একশ’ কোটি টাকা লস করে। ফাইবার কাটা পড়ে। কেউ সকালে দাঁত ব্রাশ করতে উঠেছে দেখেছে আমার বাড়ির সামনে দিয়ে কেন যায়, কেটে দেই। বার বার আমরা একই জিনিষ কতবার বলবো। ধানমন্ডির তুলনা দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে দেখেন সবাই হ্যাপি।
কমন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করলে ট্রান্সমিশন খরচ কমবে বলে মনে করেন ফাইবার অ্যাট হোম ব্যবস্থাপনা পরিচালক মইনুল হোসেন। এজন্য শক্তিশালী অংশীদারিত্ব কমানা করেন তিনি।
শনিবার দেশে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় নিয়ে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সময় ইন্টারনেটের দাম এবং মান গ্রাহকের সাধ্যের মধ্যে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
রবির কোম্পানি সেক্রেটারি ও চীফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, দেশে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের হার ৬.৩ শতাশ। তাই ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের মার্কেটে আইএসপিগুলোকে আরো বড় করতে পারি তাহলে এই খাতে আরো বিনিয়োগ আসবে। যদি এই মার্কেটে ইনসেনটিভ দেওয়া যায় তাহলে ফিক্সড ব্রডব্যান্ড খাতে অনেক বেশি বিনিয়োগ আনা সম্ভব। বাংলালিংকের চীফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, তরঙ্গের উচ্চমূল্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিদেশে মোবাইল, ব্রডব্যান্ড এসবের জন্য আলাদা আলাদা বিল দেয় না গ্রাহকেরা। এজন্য বাংলাদেশেও আমরা সবাই একসাথে কিভাবে এই কাজটি করতে পারি। তিনি বলেন, এখন আইএসপিসহ সবাই মিলে কাজ করলে গুনগত মানসম্পন্ন সেবা দেওয়া সম্ভব। টেলিটকের এজিএম সাইফুর রহমান খান, নেটওয়াক বাড়াতে পারলে আমরা আরো ভালো সেবা দিতে পারবো।
বক্তারা মনে করেন, ভবিষ্যতে এমন পদ্ধতি চালু রাখতে হবে যাতে ইন্টারনেট বন্ধ না হয়। কারিকুলাম, কালচারাল জায়গাগুলোতে পরিবর্তন দরকার, কারণ সামনে ইন্টারনেট ভিত্তিক অনেক পরিবর্তন হচ্ছে। কতগুলো জায়গায় লাইসেন্সের ব্যারিয়ারের কারণে ইন্টারনেটের কোয়ালিটি খারাপ হচ্ছে। সবাই এক জায়গায় বসে সমস্যা সমাধান করা যায়, তাহলে সবাই ব্যভসার পাশপাশি ব্যবসা করতে পারবেন।