দুই ডাক্তারের সাক্ষাৎ নিয়ে ফেসবুকে রাজনীতির রসায়নের খোঁজ

১৬ এপ্রিল, ২০২৫  
১৬ এপ্রিল, ২০২৫  
দুই ডাক্তারের সাক্ষাৎ নিয়ে ফেসবুকে রাজনীতির রসায়নের খোঁজ

লন্ডনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান দেখা করেছেন। গত রবিবার (১৩ এপ্রিল) খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসায় তাদের এ সাক্ষাৎ হয়। এসময় তারেক রহমান ও জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

দেশে ফেরার পর একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতের বিষয়টি জানান ডা. শফিকুর রহমান।  গণমাধ্যমটিকে তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা একসঙ্গে অনেক দিন কাজ করেছি। উনি অসুস্থ। ওনার খোঁজখবর নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বহুদিন পর আমাদের দেখা হয়েছে। আমরা ওনার জন্য দোয়া করেছি, ওনার কাছে দোয়া চেয়েছি।’

তারেক রহমানের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে কি না, সে প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, দুজন মানুষ একসঙ্গে হলে তো অনেক কথাই হয়। অনেক কথাই হয়েছে। তবে তিনি এর বেশি কিছু আর বলতে চাননি।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বেগম জিয়ার সঙ্গে জামায়াতের দুই শীর্ষ নেতার সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। দুই ডাক্তারের (শফিকুর রহমান ও সৈয়দ আবদুল্লাহ আবু তাহের) এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদের চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।’

মারুফ কামাল খান আরও লিখেছেন, ‘বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাওয়ার আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাৎ নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি।’

পোস্টে মারুফ কামাল উল্লেখ করেন, ‘বেগম জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিলেত যাবার আগে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানও সস্ত্রীক তার বাসায় গিয়ে দেখা করেছিলেন। সে সাক্ষাৎকার নিয়েও বিশদ কিছু জানা যায়নি। ’

এই পোস্টের মন্তব্যে রাজণৈতিক রসায়ন নিয়ে চলছে নানা আলাপ। কেউ লিখছেন, ‘এটা রাজনীতির একটা ভালো দিক... সবার আগে বাংলাদেশ গড়তে ঐক্যের বিকল্প নাই.., এ‘টা রাজনীতির একটা ভালো দিক। ফ্যাসিস্ট ছাড়া সবার সাথে এক্য হতে পারে’,‘আমরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’, ‘শুধু সৌজন্য সাক্ষাৎ হলেও ভালো। এই ধরনের সৌজন্যের চর্চা সৌহার্দ বাড়াবে’। কারো মন্তব্যে, ‘তলে তলে দেখা, ফেইসবুকে কথাবার্তা বাঁকা।’  

 প্রসঙ্গত, শফিকুর রহমান গত ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। এরপর দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে নিয়ে লন্ডনে যান তিনি। সেখান থেকে গত সোমবার দেশে ফেরেন জামায়াতের আমির।