শিল্প–উৎপাদনে রূপান্তরের পথে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
টেকসই শিল্পায়ন, আধুনিক উৎপাদনব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিনির্ভর রূপান্তরের যুগে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, “মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা শুধু যন্ত্রপাতির মানোন্নয়ন করেন না—তারা দেশের সামগ্রিক আর্থ–সামাজিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।”
২৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)–এর সদর দফতরের সেমিনার হলে ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক যন্ত্র প্রকৌশল সম্মেলন (6th International Mechanical Engineering Conference -IMEC) এবং ১৮তম বার্ষিক পেপার মিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিনির্ভর পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। দুর্যোগ–সহনশীল নগর গঠন থেকে যন্ত্রপাতির সুরক্ষা—সবক্ষেত্রেই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী মো. খালেকুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পরিবর্তনের আকাক্ষা থাকলেই বড় রূপান্তর সম্ভব। তিনি বলেন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আজ আর প্রচলিত যন্ত্রপাতিতে সীমিত নয়—অটোমেশন, রোবোটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) এর বিস্তার নতুন শিল্পযুগের দরজা খুলছে।
স্বাগত বক্তব্যে আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান বলেন, এবারের এপিএম জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে সামনে এনেছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সবাইকে নাড়া দিয়েছে, আর তাই ঝুঁকি মোকাবিলায় জনসচেতনতা থেকে শুরু করে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি—সব ক্ষেত্রেই ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব বাড়ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলী, আইইবি ভাইস–প্রেসিডেন্ট (একাডেমিক ও আন্তর্জাতিক) প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, ভাইস–প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি) প্রকৌশলী শেখ আল আমিন এবং ভাইস–প্রেসিডেন্ট (এসঅ্যান্ডডব্লিউ) প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভাইস–চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামাল হোসাইনী, এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান।
সম্মেলনে উপস্থিত প্রকৌশলীরা জানান, উদ্ভাবন ও গবেষণায় নতুন প্রজন্মের সম্পৃক্ততা বাড়লেই শিল্পায়ন আরও গতিশীল হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশের উৎপাদনখাতে উচ্চতর প্রযুক্তি, দক্ষ মানবসম্পদ এবং গবেষণাধর্মী মনোভাব জরুরি।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন চলবে পরবর্তী কয়েকদিন। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত গবেষক ও প্রকৌশলীরা তাদের গবেষণাপত্র, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও নকশা–উন্নয়ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রকৌশলী শেখ আল আমিন, ভাইস–প্রেসিডেন্ট (এইচআরডি), আইইবি, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, ভাইস–প্রেসিডেন্ট (এসঅ্যান্ডডব্লিউ), আইইবি প্রকৌশলী খন্দকার মো. আব্দুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আবুল কাওসার (সুমন), প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুকাম্মিলুর রহমান, প্রকৌশলী মো. নাজির হোসেন, প্রকৌশলী মো. আব্দুল বারী, প্রকৌশলী রনি মোহাম্মদ জুয়েল হোসাইন চৌধুরী, প্রকৌশলী মো. গোলাম মোওলা, প্রকৌশলী মো. রাইহান-উল-কবির
এছাড়া আইইবি ঢাকা কেন্দ্র, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীরা।







