আলাস্কায় ভিআইপি কাপ জয় বুয়েটিয়ানদের

২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:০২  
আলাস্কায় ভিআইপি কাপ জয় বুয়েটিয়ানদের
ভিডিও ও ইমেজ প্রসেসিং প্রযুক্তিতে বাজিমাৎ করলো বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। আকাশে উড়ন্ত ড্রোন এবং ড্রোনের ভেতর পরিবাহিত বস্তু সনাক্তের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে বিশ্বমঞ্চে উড়ালো লাল সবুজের পতাকা। 
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা  IEEE Video and Image Processing (VIP) Cup 2025-এর চূড়ান্ত পর্বে চ্যাম্পিয়ন (Grand Prize) হয়েছে বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দল নিউরণএক্স (NeuronX)। প্রতিযোগিতায় ইনফ্রারেড ও ভিজ্যুয়াল ইমেজ ফিউশন ব্যবহার করে নজরদারি ভিডিওতে ড্রোন শনাক্তকরণ, ট্র্যাকিং এবং পে-লোড শনাক্তকরণে মুন্সিয়ানা দেখিয়ে এই সম্মাননা অর্জন করেছে দলটি। একই প্রতিযোগিতায় বুয়েটের আরও দুটি দল যৌথভাবে দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে। এদের একটি হলো বুয়েট স্কাই সেন্টিন্যাল (BUET_Sky Sentinel) এবং অপরটি হলো আইকিউ (EyeQ)। 
সিগন্যাল প্রসেসিং সোসাইটির আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্ডারগ্রজ্যুয়েট শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ড্রোন শনাক্তকরণের মতো জটিল সমস্যায় নিজেদের তৈরি মডেল দেখিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে বুয়েটের নিউরণএক্স। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আব্রার জাহিন রাইহান, রুয়াদ নাসওয়ান, সাদমান সাকিব, মো. মেহেদী হাসান খান এবং মো. সাদিক মাহমুদ সাক্ষর। দলটির সুপারভাইজার ছিলেন বুয়েট সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সামসুজ্জোহা বায়েজীদ এবং প্রশিক্ষক ছিলেন মো. আসিব রহমান।
অপরদিকে বুয়েট স্কাই সেন্টিন্যাল দলের সদস্যরা হলেন- সিএসই  বিভাগের এইচএম সাদমান তাবিব, ইশতিয়াক আহম্মেদ রিফতি, মো. হাসনাইন আদিল, মুশফিকুর রহমান, সাদাতুল ইসলাম সাদি, শাহরিয়ার কবির এবং জিয়া উল আহসান আব্দুল্লাহ। তাদের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. চৌধুরী মো. রাকিন হায়দার এবং প্রশিক্ষক ছিলেন আহমেদ মাহির সুলতান রুমি।

আর আইকিউ দলের সদস্যরা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের আসিফ হাসান, সুদীপ্ত সরকার, খন্দকার আশিক শাহরিয়ার, ফাবলিহা লাবিবা, নাহিয়ান তাসনিম, আদিব রহমান, মো. নাজমুল সাকিব, মো. রাহিনুর রহমান, মো. রিফাত রহমান এবং শাহ মোস্তফা রেজা। এই দলের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন অধ্যাপক ড. শেখ আনোয়ারুল ফাত্তাহ এবং প্রশিক্ষক ছিলেন অঞ্জন কুমার বাগচী।
এবারের প্রতিযোগিতায় এমন একটি মডেল বাংলার দামালেরা দেখিয়েছে যা কিনা ভিডিও ও ইনফ্রারেড ডেটাসেট একত্রে ব্যবহার করে তৈরি করা এমন একটি সিস্টেম যা বাস্তবসম্মত পরিস্থিতিতে ড্রোন শনাক্ত করতে পারে, তার গতিপথ ট্র্যাক করতে পারে এবং ড্রোন বহন করা পে-লোডের ধরন চিহ্নিত করতে পারে। শুধু নির্ভুলতা নয়, বিচারকদের নজরে ছিল- রিয়েল-টাইম পারফরমেন্স এবং দ্রুত ইনফারেন্স টাইম।