পরির্দশনে প্রিয়শপে বিদেশি বিনিয়োগ সম্প্রসারণের আশ্বাস

প্রতিষ্ঠার ৪ বছরে শত কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশের বি-টু-বি মার্কেটপ্লেস এবং ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম প্রিয়শপ। বিনিয়োজিত এই অর্থ দিয়ে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তরের কাজ চলছে।
সেই কার্যক্রম পরিদর্শনে সিঙ্গাপুরসহ ১২টিরও বেশি বিনিয়োগকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ঢাকার প্রিয়শপের সদর দপ্তর, গ্রিন হাব এবং রিটেইল আউটলেট পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনে যাওয়া প্রিয়শপের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৬ সদস্যের এই দলে ছিলেন জিএফআর ফান্ড এর জেরেমি লিম, অ্যাক্সেলেরেটিং এশিয়া এর ক্রেগ ডিক্সন এবং ওসমান আহমেদ, অরবিট স্টার্টআপস এর অস্কার রামোস, বনবিলো’র সুরজ কৃপালানি, বিটিএফভি’র গোহ সেং উই, হার্ভেস্ট মুন এর চার্লি চ্যান,সিজি ভেঞ্চারস এর ধাওয়াল শাহ এবং রাজি শাহ, সাবর ক্যাপিটাল এর মোহাম্মদ ইব্রাহিম সামেজা, জোয়া ক্যাপিটাল এর আকিফ মাহমুদ এবং ব্লু অরা ভেঞ্চারস এর সামি রহমান।
এপ্রিল মাসে এস এক সপ্তাহ ধরে প্রিয়শপের পুরো আয়োজন ঘুরে ঘুরে দেখেছেন তারা। পরিদর্শন শেষে তারা বাংলাদেশের বিটুবি খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভবনা দেখেছেন বলে জাানান প্রিয়শপ প্রতিষ্ঠাতা আশিকুল আলম খান। তিনি বললেন, এখানে পরিদর্শনের আগে তারা বাংলাদেশকে আফ্রিকার মতো মনে করতো। পরিদর্শনে এসে এদেশের অবকাঠামো ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ দেখে তাদের ধারণাটা বদলে গেছে। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন। ইতিমধ্যে আমরা কিছু সফট কমিটমেন্টও পেয়েছি।
জানাগেছে, প্রিয়শপের এই বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সফরকালে প্রিয়শপ-এর নেতৃত্বস্থানীয় কর্মকর্তা, কর্মী এবং গ্রাহকদের সাথে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বিভিন্ন হাব, স্থানীয় বাজার এবং গ্রাহকদের সাথে সরাসরি কথা বলে প্রিয়শপ-এর কার্যক্রম এবং এমএসএমই খাতের জন্য এর সেবা সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা লাভ করেন। এমএসএমই বিজ্ঞাপনে সৃজনশীলতা, প্রযুক্তি এবং ডেটা মিশ্রনের বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম প্রিয়শপের নতুন কার্যক্রম চাটনিঅ্যাডসের নিয়েও তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ফিরে যাওয়ার আগে প্রিয়শপের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের দেশে ঐতিহ্যবাহী স্যুভেনির দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সহায়তায় প্রিয়শপ সোয়া লক্ষের মতো এমএসএমইকে সেবা দিচ্ছে। যুক্ত আছে পৌন তিন শ’র মতো ব্র্যান্ডের সঙ্গে। প্রতিষ্ঠানটি এখন চাইছে দেশের ৫০ লাখ ক্ষুদ্র ও কুটির উদ্যোক্তাদের চাহিদা পূরণ করার জন্য একটি স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে যেখান থেকে ১৮ কোটি মানুষকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।