৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ
কুয়েটে ইউজিসি তদন্ত দল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সৃষ্ট ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের কমিটি। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। তিন জনের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের যুগ্ম সচিব প্রফেসর তানজিম আহমেদ ও প্রফেসর সাইদুর রহমান রয়েছেন। এর আগে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি. আর. আবরার কুয়েটে অনশন স্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছেন। তবে ভিসির পদত্যাগে অনঢ় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে গত সোমবার বিকাল ৪টা থেকে ৩২ জন ছাত্র আমরণ অনশন শুরু করেন। সোমবার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২ জন ছাত্র বাড়িতে চলে যান এবং ১ জনের মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনিও বাড়িতে যান। মঙ্গলবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আজিজুল হক সিয়াম কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থা শংকামুক্ত বলে জানা গেছে। তবে বুধবার ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে আমরণ অণশনস্থল স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, তোষকের উপর শুয়ে-বসে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ২৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের তিন পাশে রয়েছে ১০/১২টি স্ট্যান্ড ফ্যান। এছাড়া কুয়েটের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী অনশনস্থলের পাশে চেয়ারে বসে আছেন। সেন্টারের সামনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি অ্যাম্বুলেন্স। পাশের কক্ষে অবস্থান করছে কুয়েটের মেডিকেল টিমের সদস্যরা।
এছাড়া খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন এবং দুপুর ২টায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
এছাড়াও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য মুহাম্মাদ মাছুদের পদত্যাগ দাবি ও সেখানে অনশনরত মুমূর্ষু শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পরে শাহবাগ ব্লকেড কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), জগন্নাত বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জবি) সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করবেন।