১৫ ঘন্টা বন্ধ ছিল অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি

সার্ভার জটিলতায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত১৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেনের টিকিট বিক্রি। সংস্কার কাজের জন্য সার্ভার জটিলতা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে কতৃপক্ষ।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ১১টা থেকে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন। তিনি জানান, সার্ভার জটিলতায় অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কমলাপুর রেলস্টেশনে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রেন। তবে বেলা ১১টা থেকে অনলাইন টিকিট বিক্রি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিডিউল জটিলতা কাটতে শুরু করেছে।
এর আগে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাউন্টার থেকে শুধু ব্ল্যাক পেপার টিকিট (বিপিটি) দেয়া হয়। এর মাধ্যমে শুধু স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়। আন্তঃনগর ট্রেনের কোনো আসন দেয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকিট বিক্রির সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সান্টিং পাওয়ারের সমস্যার কারণে শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি ট্রেন। এতে যাত্রীদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৮টা ৩০ মিনিট। অথচ ট্রেনটি স্টেশনে আসে বেলা ১১টার দিকে। যাত্রীদের পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। দেড় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে রংপুর এক্সপ্রেস।
শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে জয়ন্তীকা, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসসহ বেশকয়েকটি ট্রেন।
এর কারণ, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল ট্রেনের টিকিট বিক্রির সার্ভার। এ সময় টিকিট কাটতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আর শিডিউল বিপর্যয়ের পেছনে সান্টিং পাওয়ারের সমস্যর কথা বলছে রেল কতৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনিবার পথে অতিরিক্ত ভিড়ের শঙ্কায় ছুটি একদিন হাতে রেখেই ফিরছেন বেশিরভাগ যাত্রী। তবে এবারের ঈদ যাত্রা নিয়ে স্বস্তি ছিল সবার চোখেমুখে। ফিরতিযাত্রা নিয়েও ছিল না তেমন অভিযোগ।