রবিবার অংশীজন সভায় করণীয় নির্ধারণ
ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে প্রযুক্তি ও ব্যাংকিং খাতের আমদানি বাদ পড়েছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

"যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমরা প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, বিমাসহ বিভিন্ন ধরনের যে সেবা আমদানি করি, সেটিকে এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। যদি সেবা আমদানিকেও বিবেচনায় নেওয়া হতো, তাহলে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর এত পরিমাণে পাল্টা শুল্কারোপ হতো না।"
শুক্রবার ট্রাম্পের শুল্কীতি নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে ট্রাম্প পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বাণিজ্যসচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যানকে নিয়ে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা।
বৈঠকে আগামী রবিবার বিষয়টি নিয়ে সব অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানান তিনি। দ্বিপাক্ষিক এই সমস্যার সমাধান নিয়ে বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা বলেছেন, আমার মনে হয় পুরো বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে দু–এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। এরপরই আমরা সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় ঠিক করতে পারব। বাণিজ্য উপদেষ্টা হিসেবে আমি এটুকু বলতে পারি, আমাদের রপ্তানি খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত বা বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সরকারের দিক থেকে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সবটাই নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে রবিবার অনুষ্ঠিতব্য অংশীজনদের বৈঠকে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা মনে করেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার পণ্য আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বিবেচনায় বাণিজ্য–ঘাটতির ভিত্তিতে এই শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানি ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক আরোপের ওই ঘোষণাকে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য একটি বড় ধরনের ‘সুনামি’ মন্তব্য করে বশির উদ্দিন বলেছেন, পুরো বিষয়টি এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। অনেকগুলো বিষয় এখনো আমাদের কাছে অস্পষ্ট। তাই আমরা আগে পুরো বিষয়টি বুঝতে ও সব ব্যাখ্যা জানার চেষ্টা করছি। এরপর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে কাজ শুরু করব।