ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই জীবাণু?

২১ এপ্রিল, ২০২৫  
২১ এপ্রিল, ২০২৫  
ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই জীবাণু?

ওয়াসার পানিতে ভয়াবহ ইকোলাই ভাইরাস পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠানটি নির্বিকার থাকার অভিযোগ করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। দলটি বলছে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানিতে কেঁচো বা এই ধরনের পোকামাকড় পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ময়লা এবং দুর্গন্ধ। ওয়াসার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে যে সমস্ত দুর্নীতিবাজ কেঁচো বা পোকামাকড় বসে আছে তাদের অপসারণ ব্যতীত নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব নয়।

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, প্রতি বছর পানি নিয়ে একই পরিস্থিতি বিরাজ করলেও এর কোনো সমাধান নেই। বছরের পর বছর ধরে কোনো সরকারই বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা তৈরি করতে পারেনি। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যেসব দুর্নীতিবাজ কেঁচো বা পোকামাকড় বসে আছে তাদের অপসারণ ব্যতীত নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব নয়। 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদের সময় ২২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল ওয়াসার সাবেক এমডি তাসকিন এ আহমেদ। যার পুরোটাই পানিশোধনের পরিবর্তে আওয়ামী লুটেরাদের পকেটে ঢুকেছে। প্রতি বছর পানি নিয়ে একই পরিস্থিতি বিরাজ করলেও এর কোনো সমাধান নেই। বছরের পর বছর ধরে কোন সরকারই জনগণের মৌলিক অধিকার বিশুদ্ধ খাবার পানির নিশ্চয়তা দিতে পারেনি।

সংবাদ সম্মেলনে দূষিত পানির ভোগান্তি ও তার সমাধান বিষয়ে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে একজন আইনজীবীর রিটে হাইকোর্ট ডিভিশন ৭ দিনের মধ্যে জানতে চেয়েছিলেন ওয়াসার পানির স্যাম্পলে মল, মূত্র এবং অ্যামোনিয়ার উপস্থিতি কেন পাওয়া গিয়েছে? যার উত্তর আজ প্রায় ৭ বছরেও পাওয়া যায়নি যা অনাকাঙ্ক্ষিত।

নাসরিন সুলতানা মিলি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও উন্নয়নের ডামাডোল আর স্মার্ট বাংলাদেশের ভিড়ে আমরা একটি বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সাপ্লাই চেইন স্থাপন করতে পারিনি, যা আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। তাকসিম আহমেদের মতো বর্তমান এমডিও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে কোন দৃশ্যমান কাজ করতে দেখিনি। নগরবাসীরা যেখানে ই-কোলাই জীবাণু এবং পোকামাকড়ে ভরা পানি খেয়ে নাভিশ্বাস উঠার যোগাড়, তখন ওয়াসার এমডির পক্ষ থেকে সমাধান তো দূরের কথা কোন বক্তব্যও পাইনি।

জুরাইন, মগবাজার সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের ভোগান্তির বেশি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়াসার বিল দেওয়ার পরেও এইরকম ভোগান্তি জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সম্পূর্ণ বিপরীত। অবিলম্বে পানি এবং সুয়ারেজ লাইন কোথায় মিলিত হয়েছে তা চিহ্নিত করে তা ঠিক করুন। দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ হিসেবে পানি ফিল্টার করার প্রযুক্তি ব্যবহার করা, ভাল সাপ্লাই চেইন মেন্টেইন করা, পুরোনো লাইনগুলো রিপ্লেস করা, অবৈধ পানির লাইনগুলো বন্ধ করা এবং সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে রাস্তার কাজে হাত দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, এবিএম খালিদ হাসান, শ্যাডো বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান নোমান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাসেত মারজান প্রমুখ।