গবেষণা ও টেকসই শহর উন্নয়নে ব্র্যাক-এসিইউ অঙ্গীকার
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির একটি প্রতিনিধি দল অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ (এসিইউ) এর নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক করেছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে এসিইউ এর সদর দফতরে সম্প্রতি এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি বৈশ্বিক সম্পৃক্ততা ও অ্যাকাডেমিক কোলাবোরেশন আরো এগিয়ে নিতে করতে কাজ করছে। লন্ডনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সেই প্রচেষ্টারই একটি অংশ।
আলোচনায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে অংশ নেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার এবং রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড। বৈঠকে এসিইউ এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর কলিন রিওরডান এবং কমিউনিকেশনস ও পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের হেড ড. লরা প্রিচ।
বৈঠকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কীভাবে সমাজ উন্নয়ন, টেকসই অগ্রগতি এবং প্রয়োগভিত্তিক গবেষণা অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা সে বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সাথে, উচ্চশিক্ষাকে ব্যবহার করে একটি সহিষ্ণু ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল- সহনশীল নাগরিক সমাজ গড়ে তোলা, টেকসই শহর উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষণা বিনিময় উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া।
এই আলোচনাকে স্বাগত জানান এসিইউ-এর সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর কলিন রিওরডান। তিনি ২০২৬ সালে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য এসিইউ সদস্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এই আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২১ সালে এসিইউ এর সদস্যপদ অর্জন করে। এর মাধ্যমে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি কমনওয়েলথভুক্ত পাঁচশটিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে গঠিত মর্যাদাপূর্ণ এই বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়। এর ফলে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি জ্ঞান বিনিময়, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে এসিইউ এর ১৬টি সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যা সংস্থাটির এই অঞ্চলে দীর্ঘদিনের অ্যাকাডেমিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।
১৯১৩ সালে এসিইউ প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বিশ্বের প্রথম ও প্রাচীনতম আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক। বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষায় উৎকর্ষ ও বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
এই বৈঠকটি ছিল ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি দলের যুক্তরাজ্য সফরের অংশ। বৈঠকটি দেশটির স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে গ্লোবাল সাউথ থেকে উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি ও আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই সফর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে মানসম্মত শিক্ষা, টেকসই শহর ও সম্প্রদায় উন্নয়ন, জলবায়ু কার্যক্রম এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।







