লালবাগে ‘ফ্রি ফায়ার গেম নিয়ে’ দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১

৪ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:১০  
৫ অক্টোবর, ২০২৫ ০৮:১৪  
লালবাগে ‘ফ্রি ফায়ার গেম নিয়ে’ দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১

রাজধানীর লালবাগের আমলিগোলা এলাকায় মোবাইল গেম ‘ফ্রি ফায়ার খেলাকে কেন্দ্র করে’ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে শহিদ (৪০) নামে এক কাঁচামাল বিক্রেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। শহিদ লালবাগের আমলিগোলা কলারঘাট ইউসুফ আলীর বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া থাকেন। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ।

আমলিগোলা বাজার এলাকায় শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সংঘর্ষের পর আহত শহিদকে  রাত দেড়টার দিকে মামুন আহত শহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে আসেন তার ছেলে, পাবজি খেলোয়াড় মামুন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক। তিনি বলেন, ‘আহত অবস্থায় শহিদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’

আহতের ছেলে মামুন জানান, তিনি ও মাহমুদউল্লাহর ছেলে (নাম জানা যায়নি) মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম খেলছিলেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে বিষয়টি দুই পরিবারের অভিভাবকদের মধ্যে বিতণ্ডায় রূপ নেয়। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, এতে তার বাবা শহিদ গুরুতর আহত হন।
প্রসঙ্গত, অনলাইন গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ ও ‘পাবজি’ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার পরিপ্রেক্ষেতে ২০২০ সালে হাইকোর্ট বাংলাদেশে পাবজি ও ফ্রি ফায়ারসহ সব ধরনের সহিংস অনলাইন গেমস তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলো। সেই আদেশে বলা হয়, এসব গেম তরুণ সমাজকে সহিংসতার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে এবং সামাজিক অবক্ষয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল হাইকোর্ট আবারও এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। তারপরও ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকায় মোবাইল ফোনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার সময়ে খেলার সঙ্গীর কিশোর (১৫) কিলঘুষিতে নিহত আব্দুল্লাহর (১৩) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।