প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার নিয়ে ব্র্যাক ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার উদ্যোগ
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবকল্যাণ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, ইন্ডাস্ট্রি উন্নয়ন ও প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারে এক সাথে কাজ করবে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সমাজে কার্যকরভাবে প্রয়োগের বিষয়ে একে অপরকে সহযোগিতা করবে বিশ্ববিদ্যালয় দুটি।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি এই বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল। আলোচনায় গণমানুষের সাথে কাজ করা ও উদ্ভাবন সক্ষমতায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অভিজ্ঞতা এবং কেমব্রিজের গবেষণা উৎকর্ষকে একত্রিত করার মাধ্যমে বাস্তব সমস্যার টেকসই সমাধান সৃষ্টির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
এই কোলাবোরেশনের অন্যতম লক্ষ্য হলো আবিষ্কার থেকে বাস্তব প্রয়োগ পর্যন্ত একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া তৈরি করা, যেখানে দ্রুত পরীক্ষা, স্বচ্ছভাবে শেখা এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এমন সমাধান তৈরি করা সম্ভব হবে যা হবে টেকসই এবং সম্প্রসারণযোগ্য।
বাংলাদেশ সামাজিক উদ্ভাবনের অন্যতম বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবে পরিচিত। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার এই সহযোগিতা বাস্তব পরিবেশে যৌথ গবেষণা ও সমাধান নকশার সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা একটি কো-ক্রিয়েশন ল্যাবের এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। কেমব্রিজ ইতোমধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শক্তি ও অভিজ্ঞতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাথমিক প্রকল্পসমূহ ত্বরান্বিত করার একটি কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন।
সহযোগিতার অগ্রাধিকারমূলক বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে যৌথ পরিচালনা কাঠামো গঠন এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক প্রথম ধাপের পাইলট প্রকল্পগুলোর সাফল্যের মানদণ্ড নির্ধারণ।
বৈঠকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার; ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন; রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড; এবং ব্র্যাক ইউরোপের গভর্নমেন্ট রিলেশনস ও পলিসি লিড জেমা মে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডেবোরা প্রেন্টিস; পাবলিক হেলথ ও প্রাইমারি কেয়ার বিভাগের প্রধান জন ড্যানেশ, এবং সেন্টার ফর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. নাজিয়া হাবিব।
সরাসরি যুক্তরাজ্যের হাউজ অফ কমন্স থেকে আলোচনায় যোগ দেন দেশটির সাবেক মন্ত্রী দ্য রাইট অনারেবল স্যার অ্যান্ড্রু মিচেল এমপি। তিনি ব্র্যাকের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এর বৈশ্বিক গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কোলাবোরেশন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি ৩ (সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ), এসডিজি ৪ (গুণগত শিক্ষা), এসডিজি ৯ (শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো), এবং এসডিজি ১৭ (লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব) এর অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং দায়িত্বশীল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যৌথভাবে উদ্ভাবন ও গবেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এই সহযোগিতা বাংলাদেশের সামাজিক উদ্ভাবনের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে, এবং সমতাভিত্তিক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।







