এশিয়া স্মার্ট ইনোভেশনে স্বর্ণপদক পেলো কাজ সফটওয়্যার

এবারের এশিয়া স্মার্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে স্বর্ণপদক জিতলো বাংলাদেশের সফটওয়্যার কোম্পানি কাজ। ওয়ারলেস টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে হংকংয়ের টেনসেন্ট উইস্টার্ট ভ্যেনুতে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বেসিস সদস্য এই প্রতিষ্ঠানটিসহ মোট ১১টি বাংলাদেশে সফটওয়্যার কোম্পানি অংশ নেয়। এদের মধ্যে “লাইফস্টাইল অ্যান্ড কালচার” ক্যাটাগরিতে স্বর্ণপদক জয় করে ‘কাজ সফটওয়্যার লিমিটেড’।
দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর পর কাহ সফটওয়্যার লিমিটেডে সিইও ওয়াহিদ আজিজ চৌধুরীর হাতে পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয়। এসময় রিজিওনাল কো-অর্গানাইজার হিসেবে বেসিসের প্রশাসক প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান উপস্থিত ছিলেন।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের স্টার্টআপ দেশসেরা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ১৫ থেকে ১৬ অক্টোবর এই অনুষ্ঠান হয়েছে। অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লকচেইন, এআর/ভিআরসহ পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল প্রযুক্তির ওপর আলোকপাত করা হয়। তিনটি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, ইসরায়েল, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও হংকংসহ বিভিন্ন দেশের মোট নয়টি ফাইনালিস্ট এই পুরস্কারের জন্য প্রতিযোগিতা করে। এদের মধ্যে থেকে কর্নিয়া সফট অ্যান্ড আইটি সলিউশন লিমিটেড, নোডস ডিজিটাল লিমিটেড, টেটন প্রাইভেট লিমিটেড ও কোথায় লিমিটেড উল্লেখযোগ্যা।
পুরস্কার পাওয়ার পর কাজ সফটওয়্যার লিমিটেড-এর সিইও ওয়াহিদ আজিজ চৌধুরী বলেন, “এশিয়া স্মার্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডসে গোল্ড অ্যাওয়ার্ড অর্জন আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য গর্বের এবং বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য অনেক বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, বেসিসের নবনিযুক্ত প্রশাসক জনাব আবুল খায়ের মুহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খানের সমর্থন আমাকে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত করেছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিভা প্রদর্শনে সাহস যুগিয়েছে।"
এ প্রসঙ্গে বেসিসের নবনিযুক্ত প্রশাসক আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান বলেন, “এশিয়া স্মার্ট ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডসে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, আমাদের দেশ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এশিয়ার শীর্ষ সারিতে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে।” বেসিসের সাথে সম্পৃক্ত তথ্যপ্রযুক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলো আগামীতে বৈশ্বিক মঞ্চে আরও দৃঢ়ভাবে নিজেদেরকে উপস্থাপন করবে এবং স্মার্ট ইনোভেশনের মাধ্যমে দেশকে জ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।