এআই বিনিয়োগে চাঙ্গা অর্থনীতি, তবে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই খাতে বিপুল বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে সাময়িক উত্থান দিলেও, বাস্তব অর্থনীতিতে ছোট ও মাঝারি ব্যবসা টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত। এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট, অ্যাপল, গুগল, অ্যামাজন ও ব্রডকমের মতো প্রযুক্তি জায়ান্টদের শেয়ারের দাপটে শেয়ারবাজারে রেকর্ড তৈরি হলেও খুচরা বিক্রি, নির্মাণ ও সেবা খাত ভুগছে মূল্যস্ফীতি ও শুল্ক–বৃদ্ধির চাপে। খবর সিএনবিসি।
আলাবামার ফ্লোরিস্ট ব্যবসায়ী ক্যামেরন পাপাস বলেন, “আমরা এখন প্রতিটি খরচ নজরে রাখছি।” ফুলের তোড়া তৈরিতে তিনি উপকরণের সংখ্যা কমিয়ে দাম ধরে রাখছেন, যাতে ক্রেতা হারাতে না হয়।
জেপি মরগ্যানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে এআই–সম্পর্কিত বিনিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির ১.১ শতাংশ অবদান রেখেছে। তবে একই সময় উৎপাদন খাত টানা সাত মাস সংকুচিত হয়েছে এবং নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে ৪.৬ শতাংশ।
এনভিডিয়া, গুগল ও ব্রডকমের শেয়ারের উল্লম্ফনে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১৫ শতাংশ ও নাসডাক ২০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সাধারণ ভোক্তা–নির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ার বৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই অর্থনীতি জিডিপি বাড়াচ্ছে ঠিকই, তবে বাকি অর্থনীতি এখনো টিকে থাকার সংগ্রামে।
ডিবিটেক/বিএমটি







