যেভাবে চলে পেপারলেস আকিজ গ্রুপ
কর্মীদের নেই কোনো নির্দিষ্ট ডেস্ক। তাদের জন্য আছে ভার্চুয়াল ডেস্ক 'পিপল ডেস্ক'। এই ডেস্কের মাধ্যমে ১ লাখ কর্মী ১০ লাখ রিটেইলারের মাধ্যমে ৯০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়া হয় নিজস্ব সফটওয়্যারে। এতে ব্যবহৃত হয় এআই প্রযুক্তি। ল্যাপটপও খুব কম। ব্যবহার করেন মোবাইল ফোন।
লেনদেনে চেকের ব্যবহার নেই বললেই চলে। কেবল চলতি বছরেই নিজস্ব ইআরপি-তে লেনদেন করেছে ৫৩৩ বিলিয়ন টাকা। হ্যাকিং ঝুঁকি কমাতে ব্যবহৃত হয়েছে জিরো টেস্ট আর্কিটেকচার।
নিজেদের ৪টি সহ প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন প্রোকৌশলী সামাল দেন এর সব কিছু।
এটি কোনে গল্প নয়; বিদেশীও কোম্পািনও নয়। এটিই বাংলাদেশের আকিজ রিসোর্সের বাস্তবতা। এই বাস্তবতা নিয়ে ডিজিটাল ব্যাংক আনতে যাচ্ছ আকিজ গ্রুপ।
২৯ অক্টোবর, বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আকিজ হাউসে এই গল্প তুলে ধরেন আকিজ আইবস লিমিটেড সিইও জায়েদ বিন রশীদ। তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত যা কিছু অর্জন করেছি তা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল রূপান্তরের শক্তি এবং আমাদের সংহত ইকোসিস্টেমের কারণে। এই যাত্রার মাধ্যমে আমরা আকিজ রিসোর্সকে এমন একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই যা দেখাবে কিভাবে প্রযুক্তি টেকসই উন্নয়ন।”
আকিজ রিসোর্স এর চিফ বিজনেস অফিসার মো তৌফিক হাসানের সঞ্চালনায় কোম্পানি আকিজ ইনফোটেক ব্লু সিইও জিএম কামরুল হাসান, চিফ সেলস অফিসার শাহেদ ইকবাল এবং ডিজিটাল রূপান্তরের প্রধান ফিরোজ কবির।
প্রশ্নোত্তর পর্বে তারা জানান, ইন্টারনেটে আপদকালীন সমস্যা সমাধানে ইন্ট্রানেটে যৃক্ত রয়েছে দাফতরিক সবকিছু। ডিজিটাল ব্যংকের সঙ্গে ক্লাউড সেন্টারও আনতে যাচ্ছে। ফলে কোম্পানি প্রধানের ১০ লাখ কর্ম সংস্থানের পথে হাটছে আকিজ রিসোর্স। তাদের লক্ষ্য মোটো মোবাইল অ্যন্ড ক্লাউড ফাস্ট।
প্রেস মিটে বিশেষভাবে সাইবারসিকিউরিটি ও গভর্নেন্স নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তারা আকিজ রিসোর্সের জিরো-ট্রাস্ট আর্কিটেকচার, AI-চালিত ঝুঁকি শনাক্তকরণ, স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রক মানানসইতা এবং নিরাপদ ক্লাউড সিস্টেমের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন, যা স্টেকহোল্ডারদের জন্য নির্ভরযোগ্য এবং নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
সেশনটি একটি কর্পোরেট ভিডিও প্রদর্শনী এবং প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। শিল্প বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, আকিজ রিসোর্সের ডিজিটাল অবকাঠামো জাতীয় শিল্প ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করছে, সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে এবং বাংলাদেশের দৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে।







