ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:৫৭  
ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো শুরু ১৮ সেপ্টেম্বর

দেশীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্য প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক, সফটওয়্যার ও সাইবার নিরাপত্তা খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়তে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো ২০২৫’। তিনদিনব্যাপী এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ও নিরাপত্তা-সুরক্ষা প্রযুক্তির আদান-প্রদানের সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করছেন আয়োজকরা।  

প্রযুক্তিপণ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেড, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যক সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও দুবাইয়ের  প্রযুক্তি কোম্পানি জিপিই এক্সপো (এফজেডই) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

আয়োজক সূত্রে প্রকাশ, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো-২০২৫’ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বিজনেস টু বিজনেস (বিটুবি) সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে আন্তর্জাতিক শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিভিন্ন বিষয়ে দেশের  নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্য প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক, সফটওয়্যার, ব্যাংকিং, করপোরেট, সাইবার নিরাপত্তা খাতের তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশীয় নিরাপত্তা প্রযুক্তি শিল্পের স্মার্ট সংযোগ তৈরি হবে। সেসাথে দেশের  নিরাপত্তা ও সুরক্ষা পণ্যের তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

আয়োজকরা আরও জানিয়েছেন, তিনদিনের এই আন্তার্জাতিক প্রদর্শনীতে আরও থাকছে  ‘ইন্টারন্যাশনাল অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ ও ফায়ার এক্সপো (আইওএসএইচএফই)’। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সর্বশেষ নিরাপত্তা ও সুরক্ষা বিষয়ক  প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শন করবে। যেমন, কর্মস্থলের অগ্নি নির্বাপক নিরাপত্তা  প্রযুক্তি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম, স্মার্ট মনিটরিং সিস্টেম, স্বাস্থ্য ও অগ্নি নিরাপত্তা  প্রযুক্তি, স্মার্ট সফটওয়্যার সল্যুশনস, সাইবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তির আধুনিক উদ্ভাবন, পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হবে। অত্যাধুনিক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), নিরাপত্তা ক্যামেরা এবং অন্যান্য  নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সরঞ্জামাদি।  

সহ আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে বাংলাদেশের শিল্পায়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং নগরায়ণ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আধুনিক করা সময়ের দাবি। ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো’আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা চাহিদার সঙ্গে আন্তর্জাতিক উদ্ভাবন ও সমাধানকে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি বড় বড় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। তাঁরা বিশ্বমানের নতুন নতুন নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন এবং একসঙ্গে কাজ করার সুযোগ খোঁজবেন। এই আয়োজন শুধু একটি প্রদর্শনী নয়, এটি ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার  জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আশা করি, এই আয়োজন বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

আয়োজন নিয়ে আয়োজক প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মধু সুদন সাহা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে প্রতিনিয়তই প্রযুক্তি বদলাচ্ছে। সেসাথে বদলাচ্ছে নিরাপত্তা সুরক্ষা প্রযুক্তির ধরণও। তাই, দেশের মানুষের সম্পদ ও তথ্যের নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের গতি ও নিরাপত্তা হুমকির প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সুরক্ষা আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের শিল্পায়ন ও নগরায়ণের অগ্রগতির পরিপ্রেক্ষিতে একটি সমন্বিত নিরাপত্তা কাঠামো প্রয়োজন। আমি বিশ্বাস করি, ‘ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি এক্সপো’ বৈশ্বিক প্রযুক্তিকে স্থানীয় বাস্তবতায় প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সেসাথে এটি দেশের ইলেকট্রনিক পণ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা খাতের দেশীয়  প্রস্তুতকারক, সরবরাহকারী, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, সফটওয়্যার সুরক্ষা খাত ও সাইবার নিরাপত্তা খাতের উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীসহ সরকারকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করে তোলবে।’