ডিডস্ হানায় প্রতিহিংসুক আইএসপিদের সতর্ক করলেন বিশেষ সহকারী

৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৩:২৪  
৩১ অক্টোবর, ২০২৫ ১৫:২৮  
ডিডস্ হানায় প্রতিহিংসুক আইএসপিদের সতর্ক করলেন বিশেষ সহকারী


বিদেশ থেকে সংগঠিত ডিডিওএস (ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস) আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক এবং ব্যবসা ধ্বংস করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা (আইএসপি) খাতের কিছু কোম্পানি। ইতিমধ্যে এই আক্রমণের তথ্য-উপাত্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিইরাসি’র হাতেও রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব। সহসাই সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়াও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


প্রয়োজনে দোষী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিলের কড়া বার্তা দিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের এই প্রকৌশলী ‘দেশের সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত অ্যান্টি-DDoS সেটআপ ও লোড-ব্যালান্সার স্থাপন, নেটওয়ার্ক নিরাপত্তায় যথাযথ বিনিয়োগ এবং  প্রতিযোগিতা বন্ধ বা সীমিত করতে টার্গেটেড অন্যায় আচরণ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। 


৩১ অক্টোবর, শুক্রবার নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে সতর্কবার্তার সঙ্গে এই আহ্বান জানান বিশেষ সহকারী। 


ফয়েজ তৈয়্যব লিখেছেন, দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডিং (ISP) খাতে কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সংগঠিত DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি-দের নেটওয়ার্ক ও ব্যাবসা ধ্বংসের চেষ্টা করছে- এমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ সরকার ও বিটিআরসি-র হাতে এসেছে। দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমাদের হাতে এসেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আসছে, তারা নতুন লাইসেসিং প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবে না। তাদের বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। বাংলাদেশের সাইবার সুরক্ষা আইন অনুযায়ী, কোনো নেটওয়ার্কে বেআইনি প্রবেশ, হ্যাকিং, বা ইচ্ছাকৃত সেবা বিঘ্ন ঘটানো একটি গুরুতর অপরাধ।


পোস্টে তিনি আরো লিখেছেন,  কিছু আইএসপি কোম্পানি লাইসেন্স নবায়ন বা শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় আটকে আছে- এর মূল কারণ বিপুল পরিমাণ বকেয়া। যারা সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানি থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে অর্থ পরিশোধ না করে কৌশলে অন্য আইটিসি বা আইআইজিতে শিফট হয়েছেন, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।


এছাড়াও সাবেক সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কিছু কোম্পানি কোটি কোটি টাকার বিল প্রদানের নামে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুয়া চেক বাউন্সিং প্রতারণা করেছে (যেমন আমরা নেটওয়ার্ক)। এসব গুরুতর আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বকেয়া অপরিশোধিত রেখে কোনো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।


তিনি আরো লিখেছেন- নিজের পরিচিত কিংবা ভাই-বেরাদার বলে DDoS আক্রমণকারীদের নাম লুকিয়ে রাখবেন না। বরং ক্ষতিগ্রস্তরা একত্র হয়ে মামলা করুন, আপনারা মামলা করলে সরকার অপরাধ দমনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে সক্ষম হবে। বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে, পাশাপাশি আপনারাও নিজেদের অবকাঠামোকে নিরাপদ করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করবেন। যৌথভাবে কাজ করে আমরা বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা খাতকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করবো।