ভাতা নিতে লাগবে বাধ্যতামূলক নিবন্ধিত সিম

১৯ আগষ্ট, ২০২৫ ১২:১৪  
১৯ আগষ্ট, ২০২৫ ১৫:১৬  
ভাতা নিতে লাগবে বাধ্যতামূলক নিবন্ধিত সিম

তা গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধিত সিম কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে সমাজসেবা অধিদফতর। ভাতার টাকা সরবরাহে জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন বা সরকার থেকে ব্যক্তি) নিয়ম বদলে গত জুলাই মাস থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে।  

এতে ভাতার জন্য আবেদনপত্রে পরিবারের যে কারও মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করার সুযোগও রহিত হলো। ফলে এখন থেকে শুধু নগদ বা বিকাশ নয়, আর্থিক সেবা দেয় এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতার টাকা নেওয়া যাবে।  

গত ১৫ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ নিয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে। এতে জানানো হয়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নিজে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংক) বেছে নেবেন। এক্ষেত্রে বিতরণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর বা সংস্থা কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নিজে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংক) বেছে নেবেন।

 এ বিষয়ে সমাজসেবা অধিদফতরের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, অনেকে আগে যে প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে ভাতা নিতেন জুলাই থেকে সেই প্রতিষ্ঠান পাল্টিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে জুলাই থেকে উপকারভোগী নিজে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংক) বেছে নিতে পারছেন। এজন্য নতুন নিয়ম অনুসারে ভাতাভোগীকে অবশ্যই নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম কার্ড নিবন্ধন করতে হবে। সেসব সিম কার্ডে, অর্থাৎ ওই মুঠোফোন নাম্বারে ভাতার টাকা দেওয়া হবে। তবে খুব অল্প সংখ্যক যারা ফোন ব্যবহার করেন না তাদের আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখবে স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়।

সমাজসেবা অধিদফতর থেকে মোট ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা সামাজিক সুরক্ষা ভাতা পান। এতো দিন এই অর্থের ৭৫ শতাংশ নগদ এবং ২৫ শতাংশ বিকাশে পরিশোধ করা হতো। এখন সুবিধা ভোগী নিজেই সরাসরি তার নিবন্ধিত ফোনের মাধ্যমে এই সুবিধা পাচ্ছেন।