ব্যবসায় এআই ইন্টিগ্রেশনে এজেন্টফোর্স ৩৬০

২০ অক্টোবর, ২০২৫ ১২:১০  
ব্যবসায় এআই ইন্টিগ্রেশনে এজেন্টফোর্স ৩৬০

এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে নির্ভরযোগ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এজেন্ট তৈরি, নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান হিসেবে  ‘এজেন্টফোর্স ৩৬০’ প্ল্যাটফর্ম উন্মোচন করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সিআরএম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্স। সেলসফোর্স জানায়, এজেন্টফোর্স ভয়েস চলতি বছরের ২১ অক্টোবর থেকে সকল গ্রাহক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। একই মাসে কনটেক্সট ইনডেক্সিংও উন্মুক্ত করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, এজেন্ট স্ক্রিপ্ট, নতুন এজেন্টফোর্স বিল্ডার এবং এজেন্ট গ্রাফ বাজারে আসবে নভেম্বরে। ডিসেম্বরে উন্মুক্ত করা হবে এজেন্টফোর্স ভয়েসের পাইলট সংস্করণগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে অনুষ্ঠিত ড্রিমফোর্স ২০২৫ সম্মেলনে সম্প্রতি  ‘এজেন্টফোর্স ৩৬০’ প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়ার সময় জানানো হয়েছিলো,  গ্রাহক ও কর্মীদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগে ধারাবাহিক ও প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতেই এটি তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত এআই প্রোটোটাইপ থেকে পূর্ণাঙ্গ এজেন্ট তৈরিতে সক্ষম হবে।

১২ হাজারের বেশি পূর্ববর্তী এজেন্টফোর্স বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতার আলোকে সেলসফোর্স নিয়ে এসেছে নতুন ‘এজেন্ট স্ক্রিপ্ট’ যা মানুষের পড়ার উপযোগী একটি স্ক্রিপ্টিং ভাষা। এটি টিমগুলোকে এজেন্টদের জটিল আচরণ বুঝতে সহায়তা করবে। এতে রয়েছে কন্ডিশনাল লজিক, গাইডেড কন্ট্রোল ও ওয়ার্কফ্লো হ্যান্ড-অফের মতো উন্নত ফিচার। কনফিগারযোগ্য অ্যাটলাস রিজনিং ইঞ্জিনের সঙ্গে মিলে এজেন্ট স্ক্রিপ্ট বৃহৎ আকারের ভাষা মডেলগুলোর সৃজনশীলতা এবং কাঠামোবদ্ধ ব্যবসায়িক লজিকের মধ্যে কার্যকর ভারসাম্য রক্ষা করে। এজেন্টফোর্স ৩৬০ এর এই এজেন্ট স্ক্রিপ্ট এখন গুগল জেমিনি, ওপেনএআই ও অ্যানথ্রপিকসহ একাধিক মডেলে ব্যবহারযোগ্য।

প্ল্যাটফর্মটির আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হলো ‘এজেন্টফোর্স ভয়েস’, যা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত, লো-লেটেন্সি ও ভয়েস কমান্ড গ্রহণ করে সল্যুশন প্রদান করে। এই এজেন্টরা শুধু লাইভ ট্রান্সক্রিপশন ধারণ করে রাখে না, কাস্টমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) রেকর্ড আপডেট, ওয়ার্কফ্লো ট্রিগার এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) কলের মতো কাজও করতে পারে। এর মাধ্যমে এজেন্টরা সহজেই মানুষের থেকে অসমাপ্ত কাজ বুঝে নিতে পারে। এই ফিচারগুলো সেলসফোর্স ও অ্যামাজন কানেক্ট, ফাইভ নাইন, নাইস ও ভোনেজের মতো শীর্ষস্থানীয় কন্টাক্ট সেন্টার প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। 

এজেন্টফোর্স বিল্ডার বিভিন্ন টিমকে একই ওয়ার্কস্পেসে এজেন্ট ডিজাইন, টেস্ট ও আরও উন্নত করে গড়ে তোলার সুযোগ দিয়ে থাকে। এতে রয়েছে ডক-লাইক এডিটর, লো-কোড ক্যানভাস এবং স্ক্রিপ্ট ভিউ। এর এআই কোডিং পার্টনার “এজেন্টফোর্স ভাইবস” প্রকল্পের ডেটার সমন্বয় করে করে দ্রুত সেবা প্রদান নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, ডেটা ৩৬০ দ্বারা চালিত “ইন্টেলিজেন্ট কনটেক্সট” অগোছালো কনটেন্ট—যেমন পিডিএফ, টেবিল, ইমেজ, ফ্লোচার্ট ইত্যাদিকে কার্যকর ডেটায় রূপান্তর করে, যাতে এজেন্টরা দ্রুত ও নির্ভুলভাবে ব্যবসার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উত্তর দিতে পারে।

রেডিটের সেলস স্ট্র্যাটেজি ও অপারেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন থম্পসন বলেন, “এজেন্টফোর্স প্রয়োগ করার পর থেকে রেডিট ৪৬ শতাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের আরও ভালোভাবে সহায়তা প্রদান করতে এবং সমাধানের সময় গড়ে ৮.৯ মিনিট থেকে মাত্র ১.৪ মিনিটে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। যা সামগ্রিক সেবায় ৮৪ শতাংশ উন্নতি করেছে। এর ফলে আমরা জটিল কাজের জন্য অন-ডিমান্ড সেবা প্রদান করতে পারছি, বিজ্ঞাপনদাতাদের সন্তুষ্টি স্কোর ২০ শতাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছি এবং আমাদের মানব প্রতিনিধিদের বার বার আসা একই ধরনের প্রশ্ন থেকে রেহাই দিতে পেরেছি।”