হাবিপ্রবিতে মারামারির ঘটনায় আহত ৩, বহিস্কার ১

বাসে কথা কাটাকাটির জেরে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তিনজন ছাত্র আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীর নাম আনসারুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীও জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
আহতরা হলেন-এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. নাঈমুর রহমান দুর্জয়, ইংরেজি ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাব্বির আহমেদ তানভীর এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জয় আহমেদ। আহতদের রাতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের দাবি, আনসারুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির হাবিপ্রবি শাখার কর্মী এবং তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হলে থাকেন।
আহত শিক্ষার্থী জয় আহমেদ অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির হাতে ছুরি ছিল এবং তিনি এলোপাতাড়িভাবে ছুরি চালাচ্ছিলেন।
হাবিপ্রবির বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯ অক্টোবর রোববার রাত ৯টার বাসে শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় বাসে মধ্যে আনসারুল ইসলাম কয়েকজন জুনিয়র শিক্ষার্থীকে আস্তে কথা বলতে বলেন। এ নিয়ে রাত ১০টার দিকে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাসটি ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে আবারও কথাকাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় তিনজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আনসারুল ইসলাম দাবি করেন, জুনিয়র শিক্ষার্থীরা উচ্চস্বরে কথা বলায় এক সিনিয়র ভাই তাদের নিষেধ করেন। তখন তাকে উল্টো উচ্চস্বরে কথা বলায় তিনি প্রতিবাদ করেন। ক্যাম্পাসে নামার পর ১০-১২ জন জড়ো হয়ে তাকে মারধর করে এবং তিনি কেবল প্রতিবাদ করেছেন। তার কাছে কোনো ধারালো অস্ত্র ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।
আহত সাব্বির আহমেদ তানভীর বলেন, ‘বাসে অনর্থক আমাকে হুমকি-ধমকি দেয় ওই বড় ভাই। ক্যাম্পাসে বাস থেকে নেমে চাকুর মতো ধারালো কিছু দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এতে আমিসহ আরও কয়েকজন আহত হই।’
এ ঘটনায় রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা বলেন, আনসারুল ইসলাম নামে যে শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাকে আমরা সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।