ই-ক্যাবের ভোট গ্রহণ স্থগিত

২৪ জুলাই, ২০২৫ ১৭:৩৩  
২৪ জুলাই, ২০২৫ ১৮:২৬  
ই-ক্যাবের ভোট গ্রহণ স্থগিত

ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে স্থগিত হলো দেশের ই-কমার্স খাতের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) ২০২৫-২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।

তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় দফায় ভোটার তালিকা সংশোধনের পর আগামী ২৬ জুলাই ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিলো।

তবে ২৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভোট স্থগিত করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন বোর্ড। উচ্চ আদলতে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দেয়া ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান তরফদার সোহেল রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

নির্দেশনায় বোর্ডের অপর দুই সদস্য ড. শাহাদাৎ হোসেন এবং রেজাউল করিমেরও সই রয়েছে। 

ই-ক্যাব নির্বাচন স্থগিতাদেশে হাইকোর্টের রায়ের কপি বৃহস্পতিবার

উচ্চ আদালতের রায়ে দেখা গেছে, সংগঠনটির ৩০৭ নম্বর সদস্য নির্বাচনের জন্য গঠিত বোর্ড ও আপিল বোর্ড-কে প্রশ্নবিদ্ধ করে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়কে বিবাদী করে রিটটি দায়ের করেন। অভিযোগে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর ধার্যকৃত নির্বাচনী তফসীল ঠিক রেখে গত ৩ মার্চ পুনঃ তফসীল করার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। এটি বাণিজ্য সংগঠন আইনের লঙ্ঘন উল্লেখ করে নির্বাচনের কার্যক্রম স্থাগিতাদেশ আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদলত ৬ মাসের জন্য ভোট গ্রহণে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।  

আদেশে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে ওই সময়ে দেওয়া আদেশ অফিস আদেশ এবং নির্বাচন তফসিলকে কেন অবৈধ ঘোষণা করে রুল জারি করা হবে না মর্মে আগামী ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখের মধ্যে লিখিতভাবে কারণ ব্যাখ্যা করে আদালতে উপস্থিত হতে হবে। এই পক্ষে রয়েছেন- বাণিজ্য সচিব,  বাণিজ্য সংঘের মহাপরিচালক, ই-ক্যাব প্রশাসক, বাণিজ্য সংঘ-১ এর সিনিয়র অ্যাসিটেন্ট সেক্রেটারি, নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান ও নির্বাচন আপিল বোর্ড চেয়ারম্যান। 

সূত্রমতে, সংগঠনকে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে এবং বিদ্যমান স্থবিরতা কাটাতে এই আদেশের বিপরীতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হতে পারে। 

প্রসঙ্গত, নির্বাচনের মাধ্যমেই সম্প্রতি নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ফিরেছে আইসিটি খাতের অপর সংগঠন আইএসপিএবি। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে প্রশাসক মুক্ত হয়েছে বিসিএস। তবে নির্বাচন ঝুলে স্থবির হয়ে পড়েছে এই খাতের সবচেয়ে সরব সংগঠন বেসিস।