শুরু হলো ভার্চুয়ালি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথনের বাংলাদেশ পর্ব

৩ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:৪৪  
৩ অক্টোবর, ২০২৫ ২০:১১  
শুরু হলো ভার্চুয়ালি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথনের বাংলাদেশ পর্ব

শুরু হলো ভার্চুয়ালি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথনের বাংলাদেশ পর্বস "নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৫"। এটা বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যাঞ্জের দ্বাদশ আসর। ৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকাল থেকে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি শুরু হওয়া এই হ্যাকাথন একটানা চলবে ৩৬ ঘন্টা। শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ফলাফল জানা যাবে। 

সূত্রমেতে, বাংলাদেশের ৯টি শহরে এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে, যেখানে প্রতিটি শহরে ১ জন করে লোকাল লিড প্রতিযোগীদের কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। ৩ ও ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী অনলাইন হ্যাকাথনে ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন এবং ৪০০টিরও বেশি উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করা হচ্ছে। 

বরাবরের মতোই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর পৃষ্ঠপোষকতায়, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিযোগিতাটি।  বিগত ১১ বছরে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগীতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্র্রেশন-নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বের ১৮৫টি দেশের প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, শিক্ষাবিদ, উদ্যোক্তাদের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবী তরুণদের একত্রিত করে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এরই অংশ হিসেবে বেসিসের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ এবং কুমিল্লা) এ আয়োজন করেছে। নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস  অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ১ কোটি শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি ২ লাখ শিক্ষার্থীর সরাসরি ও প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে "টিম ডায়মন্ডস" - "সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক" বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স।

এবার হ্যাকাথনের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)।