আইইবি-তে প্রকৌশলীদের ভূমিকা নিয়ে এ্যাব’র আলোচনা সভা

গণতান্ত্রিক ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব)। ১৮ অক্টোবর, শনিবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা।
“গণতান্ত্রিক উন্নত বাংলাদেশ বির্নিমাণে প্রকৌশলীদের ভূমিকা” শীর্ষক এই আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাব-এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী এ. এন. এইচ. আখতার হোসেন, পিইঞ্জ., যিনি আইইবি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সচিবও।
স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রকৌশলী খালিদ হাসান চৌধুরী পাহিন, প্রকৌশলী সফিউল আলম তালুকদার সবুজ, প্রকৌশলী মিয়া মোহাম্মদ কাইউম, প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এ্যাবের আহ্বায়ক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রকৌশলী কে. এম. আসাদুজ্জামান চুন্নু ও প্রকৌশলী শফিউল আজম ফাহিম।
মিডিয়া উপকমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী কে. এম. ফারজাদুল ইসলাম মিরন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে প্রতিটি সেক্টরে সঠিক ম্যানপাওয়ার নির্ধারণ করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান উৎপাদনমুখী রাজনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার কথা বলেছিলেন—যেখানে দক্ষ ও মেধাবীরা রাজনীতিতে যুক্ত হবেন এবং রাজনীতিবিদরা প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেট থাকবেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রকৌশলীরা দেশ গঠনের মূল চালিকা শক্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর অদক্ষতা ও দুর্নীতির কারণে মেগা প্রকল্পের খরচ ও সময় বেড়েছে বহুগুণ। এই লুটপাট বন্ধে প্রকৌশলীদেরই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রকৌশলী আখতার হোসেন বলেন, “প্রকৌশলীরা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও নির্যাতিত। দেশ গঠনের প্রক্রিয়ায় সংসদে প্রকৌশলীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম তুহিন বলেন, “বিএনপি গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় এলে আমরা বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লু ইকোনমি ও জলবায়ু অভিযোজনসহ প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।”
সভায় বক্তারা বলেন, গণতান্ত্রিক ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে প্রকৌশলীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, কারণ উন্নত রাষ্ট্র নির্মাণে প্রকৌশলীরা কেবল অবকাঠামো নয়, দেশের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনাও নির্ধারণ করেন।