বাংলাদেশে ৫ গুণ প্রতিযোগীর অংশগ্রহণে শেষ নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৫
নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ফল ৬ অক্টোবর সন্ধ্যায়

বেধে দেয়া ৩৬ ঘণ্টা পর শেষ হলো ভার্চুয়ালি বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকাথনের বাংলাদেশ পর্ব "নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৫"। আগেরর বছরর ৫ গুণ প্রতিযোগীর নানা উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের বাংলাদেশ পর্বের দ্বাদশ আসর। তবে ফলাফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত।
৩ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী অনলাইন হ্যাকাথনে দেশের ৯টি শহর থেকে ২৭৮টি টিমে অংশ নেয় ৩ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী। মেন্টরদের মাধ্যমে উপস্থাপন করেছে ৪০০টিরও বেশি উদ্ভাবনী প্রকল্প। নির্ধারিত ১৮টি সহ পছন্দের বিষয় মিলিয়ে ১৯টি ক্যাটাগরিতে প্রকল্প উপস্থাপন করে তরুণ আইডিয়াবাজেরা।
এবারে ঢাকার বাইরে থেকে সর্বোচ্চ ২০৩টি প্রকল্পই জমা পড়েছে ঢাকার বাইরে থেকে। অধিক সংখ্যক প্রকল্প জমা পড়ায় এবার বিচারকের সংখ্যা ৪০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও বিচার কাজে কাগজ কলমের বদলে পুরো প্রক্রিয়াটাই ডিজিটাল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ পর্বের উপদেষ্টা মোহাম্মদ মাহদী-উজ-জামান।
তিনি জানান, এবারের আসরে প্রকল্প পেশের ক্ষেত্রে এআই এর ব্যবহার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব প্রকল্প মূল্যায়ণ শেষে বৈশ্বিক ভাবে ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার সময়ে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
বরাবরের মতোই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর পৃষ্ঠপোষকতায়, বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতাটি। বিগত ১১ বছরে বিশ্বব্যাপী এই প্রতিযোগীতায় টানা তিনবারসহ সর্বমোট চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘লুনার ভিআর প্রজেক্ট’ বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটাগরিতে চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিবে এমন ভার্চুয়াল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘টিম অলীক। ২০২১ সালে ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বাউয়েট) সম্মিলিত দল ‘টিম মহাকাশ’ এবং ২০২২ সালে "টিম ডায়মন্ডস" - "সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক" বিভাগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়। এবং নাসা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২৩-এর বেস্ট স্টোরিটেলিং ক্যাটাগরিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের টিম ভয়েজার্স।