ফেসবুক রিলে জিপি’র ‘ফাইভ জি’ ঘোষণা
একই দিনে দেশে বাণিজ্যিক ফাইভজি সেবা চালু করলো দুই অপারেটর। ১ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে রবি’র করপোরেট অফিসে যখন বাণিজ্যিক ফাইভজির সফট লঞ্চ অনুষ্ঠান হচ্ছিলো- এর কিছুক্ষণের মধ্যে বেলা সাড়ে তিনটার কিছু পরে কোম্পানির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেশের সব বিভাগীয় শহরে বাণিজ্যিকভাবে সেবা চালুর ঘোষণা দিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) ইয়াসির আজমান।
৩৮ সেকেন্ডের রিলে নিজের পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজমান বলেন, ‘গ্রামীণ ফোন সবসময় উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে আপনাদের কাছে আসি। আজকে আমি অত্যন্ত আন্দিত ও খুশী। বাংলাদেশের সব বিভাগে আমরা ৫জি লঞ্চ করছি। এর মাধ্যমে অমিত সম্ভাবনার বাংলােদেশের দ্বার খুলে যাক।’
এদিকে অপারেটরটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজেদের ৫জি’র বাণিজ্যিক উন্মোচনকে ‘বাংলাদেশের স্মার্ট নেশন হওয়ার পথে ঐতিহাসিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন অধ্যায়’ মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “সব বিভাগীয় শহরে ফাইভজি সেবা চালু করতে পেরে গর্বিত গ্রামীণফোন; যা দেশের মানুষের হাতে পৌঁছে দেবে রূপান্তরমূলক প্রযুক্তি। ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে দ্রুততর ও আরও নির্ভরযোগ্য নেটওয়ার্কের সূচনা করছি আমরা; যা উদ্ভাবন, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা এবং স্মার্ট সেবার মাধ্যমে খুলে দেবে সম্ভাবনার দুয়ার- গড়ে তুলবে দেশের ভবিষ্যত। আমাদের মিশন হচ্ছে দেশের মানুষকে তাদের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোর সাথে যুক্ত করা, অগ্রগতি ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করা এবং দেশজুড়ে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়া। এই মাইলফলক অগ্রগতির সেই মিশনকে আরও বেগবান করবে। এভাবে ভবিষ্যত নির্মাণের পথে অগ্রগামী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের অংশীদার হওয়ায় আমাদের গ্রাহকদেরও অভিনন্দন; কারণ আমরা যা কিছু করি, সবই তাদের জন্য। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার ও বিটিআরসিকে আন্তরিক ধন্যবাদ, যাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে টেলিটক পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালু করলেও, সেটি এখনো পুরোপুরিভাবে চালু হয়নি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত নীতিমালা অনুযায়ী, লাইসেন্সপ্রাপ্ত অপারেটরদের নীতিমালা প্রকাশের এক বছরের মধ্যে সেবা চালু করার বিধান মেনে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, শিল্পাঞ্চল এবং বাণিজ্যিক এলাকায় ২০২৫ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ফাইভ-জি প্রযুক্তি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলশ্রুতিতে একে একে বেসরকারি অপারেটরগুলো ফাইভজির বাণিজ্যিক আত্মপ্রকাশ শুরু করলো।







