এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছে গুগল পে; চার্জ কত?

আগামী এক মাসের মধ্যেই দেশের ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় যুক্ত হচ্ছে গুগলের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা গুগল ওয়ালেট—'গুগল পে'।
সূত্রমতে, প্রাথমিক পর্যায়ে সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা তাদের ভিসা ও মাস্টারকার্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায়) গুগল ওয়ালেটের সঙ্গে যুক্ত করে যেকোনো এনএফসি (নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন)-সাপোর্টেড টার্মিনালে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন। ফলে আর আলাদা করে প্লাস্টিক কার্ড বহন করার দরকার পড়বে না। আকাশপথে যাতায়াত থেকে শুরু করে কেনাকাটা কিংবা সিনেমা, সবকিছুতেই মোবাইল ফোনেই হবে লেনদেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, গুগল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করবে না। তাই অ্যাপ চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
আর ব্যবহারকারী নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে যেহেতু গুগল ওয়ালেট থেকে সাধারণ কেনাকাটা, অনলাইন পেমেন্ট বা ‘পিয়ার টু পিয়ার’ (ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি) ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে কোনো চার্জ নেওয়া হয় না তাই এটি অন্যান্য ডিজিটাল লেনদেনের চেয়ে অর্ধেক খরচে হবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি বোদ্ধারা।
তাদের মতে, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী লেনদেন আন্তর্জাতিক গেটওয়ের মাধ্যমে বা বিদেশি মুদ্রা জড়িত থাকালে সাধারণত ১ থেকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত ফি কাটতে পারে ব্যাংক। তবে দেশের অভ্যন্তরীণ লেনদেন সাধারণত বিনা খরচে হয়। যদিও গুগল যদি স্থানীয় লেনদেন আন্তর্জাতিক সার্ভারে প্রক্রিয়াকরণ করে, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে ফি যুক্ত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকখাতের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকিং অবকাঠামোর সাথে গুগল ওয়ালেটের সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশে এই সেবা চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রযুক্তি-প্রেমী শহুরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে এনএফসি পেমেন্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটা চালু হলে ব্যবহারকারীরা কনট্যাক্টলেস পয়েন্ট অফ সেল (পিওএস) টার্মিনালে সহজেই 'ট্যাপ অ্যান্ড গো' পেমেন্ট করতে পারবেন। এতে খুচরা লেনদেন সহজ করার পাশাপাশি ই-কমার্সের অভিজ্ঞতাও আরও প্রাণবন্ত হবে।