স্টেশনে অলস পড়ে আছে রেলের ভেন্ডিং মেশিন

স্টেশনে দীর্ঘ লাইনে না দাড়িয়ে অনলাইনে সরাসরি টিকিট কেনার সুযোগ করে দিতে দেশজুড়ে ১৫টি টিকিট ভেন্ডিং মেশিন (টিভিএম) স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে চারটি, বিমানবন্দর স্টেশনে দুটি, চট্টগ্রাম স্টেশনে দুটি, সিলেট স্টেশনে একটি, কক্সবাজার স্টেশনে একটি, রাজশাহী স্টেশনে দুটি, খুলনা স্টেশনে একটি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশনে একটি ও রংপুর স্টেশনে একটি ভেন্ডিং মেশিন বসানো হয়েছে।
তবে ররেলওয়ে সার্ভিস কিউস্ক এবং এর পাশেই থাকা ভেন্ডিং মেশিনগুলোতে যেন মাছি খেলা করে। যাত্রীরা খুবই কমই ব্যবহার করছেনন। মেশিন ফাঁকা পড়ে থাকলেও কাউন্টারে দীর্ঘ সারি দেখা যায়। মেশিন ব্যবহারে আগ্রহ নেই যাত্রীদের।
যদিও যাত্রীদের এই প্রযুক্তিটি ব্যবহারে সাহায্য করতে প্রতিটি স্টেশনে রয়েছে রেলের অনলাইন টিকিট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমের রেলওয়ে সার্ভিস কিউস্ক। এখান থেকে অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন। তারপরও অনেকেই টিকেট কাটছেন কাউন্টারে গিয়ে।
কমলাপুর রেল স্টেশনের রেজিস্ট্রেশন বুথে দায়িত্বরত সহজ ডট কমের স্টাফ মোঃ শিহাব জানান, যেসব যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করা নেই তাদের তারা সাহায্য করেন। কিন্তু বুথ থেকে রেজিস্ট্রেশন করে যাত্রীরা কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটেন। অনেকে ভেন্ডিং মেশিন থেকে টিকিট কাটতে চায় না। ফলে দেখা যায় বুথ ফাঁকা থাকলেও কাউন্টারে ভিড়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আরিফ জানান, যাত্রীদের সুবিধার জন্যই আমরা ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। আসলে অভ্যস্থ না থাকায় স্টেশনে বুথ ফাঁকা থাকলেও যাত্রীরা মেশিনে টিকিট কাটতে আগ্রহী হচ্ছেন না। তাই এখন যাত্রীদের এ নিয়ে সচেতন করার কথা ভাবছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের ভাষ্য, তারা এসব বোঝেন না। মেশিন থেকে কখনও টিকিট কাটিনি। কীভাবে কাটতে হয় তাও জানেন না। আর মেশিনের ওপর আস্থাও আসে না। মেশিন থেকে টিকিট কাটতে গিয়ে কোনো ঝামেলা হয় কি না; কী হয় কীয় টাইপের জুজু বুড়ির ভয়ও পান অনেকেই।
অবশ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বুথে টিকিট কাটলে প্রণোদনা দিলে যাত্রীরা ভেন্ডর মেশিন থেকে টিকিট কাটতে আগ্রজী হবে। অফলাইন থেকে অনলাইনে টিকেটের দাম কম হলে তারা অফলাইনে ভিড় করবেন না।