টেলিগ্রামে পার্ট টাইম চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

৭ এপ্রিল, ২০২৫  
৭ এপ্রিল, ২০২৫  
টেলিগ্রামে পার্ট টাইম চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে, আবার কখনো অনলাইনে আউটসোর্সিং কাজ শেখানো কিংবা কখনো সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেজে পার্ট টাইম চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি)। রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে আটক ব্যক্তিরা হলেন- মাদারীপুরের সুকান্ত বিশ্বাস (২৪), মানব বৈদ্য (২৩)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে অপরাধকার্যে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল ও ১৪টি সিম জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির মিডিয়া বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রতারকচক্রটি দীর্ঘদিন সিমগুলো ব্যবহার করে প্রতারণা করতে থাকার একপর্যায়ে সিম নম্বরগুলো বন্ধ করে সেগুলো থেকে নতুন হোয়াটস অ্যাপ চালু করে ব্যবহার করছিলো। এগুলো থেকে তৈরি একাউন্ট থেকে পুলিশসহ সরকারি বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পরিচয়ে প্রতারণাসহ লোকজনকে বিভিন্ন অনলাইন আউট সোর্সিং কাজ দেওয়ার নামে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে প্রলুব্ধ করে অর্থ গ্রহণ করতো। 

জানাগেছে, এ বিষয়ে পল্টন থানায় একটি প্রতারণা মামলা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি সিআইডি কর্তৃক তদন্তাধীন আছে। মামলার এজাহারে জানানো হয়েছে, মামলার বাদী মোবাইলে ইন্টারনেট, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করার সময় মাঝে মাঝে আউটসোর্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখতেন তিনি। কাজের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয় করার জন্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে খোঁজ করাকালে তার টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে পার্ট টাইম একটি কাজের জন্য একটি মেসেজ দেখতে পান। বাদী তাদের সাথে যোগাযোগ করলে টেলিগ্রামের একটি গ্রুপে অ্যাড করে দিলে সেখানে আরও অনেক মেম্বার রয়েছে মর্মে দেখতে পান। 

এজাহারে আরও বলা হয়, টেলিগ্রাম গ্রুপে কাজ শেখার জন্য ১০ হাজার টাকা ফি দেওয়ার জন্য বলা হয়। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠালে প্রতারক চক্রটি বাদীকে ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলে দেয় এবং কাজের কিছু নির্দেশনা প্রদান করে। কাজ করার পর বাদী তাদের সাথে টেলিগ্রামে যোগাযোগ করে আরও তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করলে তারা আর মেসেজ সিন করে না ও রিপ্লাইও দেয় না। পরে বাদী তার কিছু বন্ধু ও পরিচিতদের থেকে জানতে পারেন যে, এ রকম টেলিগ্রাম, হোয়াটস অ্যাপ বা মেসেঞ্জারে গ্রুপের মাধ্যমে অনলাইনে আউট সোর্সিং কাজ করার জন্য অনেকে টাকা প্রদান করে প্রতারণার শিকার হয়েছে।